মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন অনেকে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে হ্যান্ড মাইকে কিংবা মুখে ডেকে ডেকে বিক্রি করছেন জামাই পিঠা।
তাপা চিলার স্বাদের পিঠা, খাইলে নাগে মিঠা মিঠা, এত সুন্দর করি ভাঁজে পিঠা খাইলে নাগে মিঠা মিঠা, আই সুন্দর জামাই গো’—হাতে মাইক নিয়ে এভাবে ফেরি করে মধুখালীর বিভিন্ন এলাকায় ‘জামাই পিঠা’ বিক্রি করেছেন পিঠা বিক্রেতারা।
মধুখালী পৌর শহরের
পাট বাজারের মোড়ে কথা হয় সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে আসা একাধিক পিঠা বিক্রেতার সাথে। তাদের সকলের বাড়ি উল্লাপাড়া থানার মুরদাহ গ্রামে। তারা জানান, নিজ জেলা ছেরে আমরা বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে পিঠা বিক্রি করি।’প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ১/২ জনে ভাগ হয়ে পিঠা বিক্রি করেন।
পিঠা বিক্রেতা জিল্লুর রহমান (৫২) বলেন,
আগে তিনি নিজেই পিঠা বানিয়ে বিক্রি করতেন। কিন্তু এখন পিঠা তৈরির উপকরণের দাম বাড়ায় মহাজনের কাছ থেকে জামাই পিঠা কিনে বিক্রি করেন।
পিঠার নাম জামাই পিঠা রাখার কারণ কী? উত্তরে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এই পিঠা ছাড়া জামাইদের আপ্যায়ন হয় না। নতুন জামাই হলে তো কথাই নেই। এ কারণে এই পিঠার নাম রাখা হয়েছে জামাই পিঠা। এই পিঠা তৈরি হয় আটা, চিনি, গুড় ও কালো জিরা দিয়ে।’
আয়ুব আলী (৩৫) বলেন, ৫ বছর ধরে মধুখালী এলাকাতে আসছি। ‘জীবন-জীবিকার তাগিদে, স্ত্রী, সন্তানদের মূখে অন্য দিতে এত দূরে পড়ে আছি। প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ জামাই পিঠা বিক্রি করি। প্রতিটি পিঠা তৈরিকারকদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করি ৫ থেকে ১০ টাকায়।এতে যা আয় হয় তা দিয়ে পরিবারকে চালাই।
সালেহীন সোয়াদ
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি