নিজের যোগ্যতা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে। জীবনে সফল হতে হলে কিছু জিনিস সবার থেকে একটু আলাদা ভাবে ভাবতে প্রয়োজন হয়। যা আমরা সাধারনত মানুষের গুনাবলি বলে থাকি।এই গুণাবলি যাদের মধ্যে বিদ্যমান তারা তো সফলতার বিশুদ্ধ জলে সিক্ত হবেনই। নিম্নে সফল হবার জন্য বা সফল হবার নেশায় যারা বিভর তাদের চিন্তাধারা বা তাদের কিছু টিপস আলোচনা করা হল।
সফল ব্যক্তিরা কাজে নামেন সর্বাত্মক ভাবে এবং নিজেকে উজাড় করেঃ আন্তরিকতা ও নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে।যদি তা না থাকে, তবে আমরা কখনোই আমাদের কাজে সফল হতে পারব না। আত্মবিশ্বাস, ভালোবাসা ও সৎ সাহস এই তিনটি জিনিস বৃদ্ধি পায়, যখন মানুষ নিজেকে উজাড় করে দিয়ে সফলতার দিকে এগিয়ে যায়। সফল ব্যক্তিরা জানে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে সামনের দিকে না হাঁটলে কখনো সফলতা আসে না। আর এই সর্বাত্মক ভাবে কাজে নামার জন্য দরকার আমাদের ইতিবাচক চিন্তাধারা।কাজ শুরুর আগে তারা মনে করে, প্রথম ধাপেই ভালো কিছু হবে। নেতিবাচক চিন্তাকে মোটেই প্রশ্রয় দেয় না তারা। তারা বিশ্বাস রাখে কাঙ্খিত লক্ষ্যে না পৌঁছানোর কোনো কারনই নেই।
সফলতা না আসা পযন্ত তারা চেষ্টা চালিয়ে যায়- বাঁধা ,বিফলতা তাদের দামিয়ে রাখতে পারে নাঃ বাস্তব জীবনে সফল হতে কে না চায়। এর জন্য তারা জীবন ভর পরিশ্রমও করে যায়। কিন্তু এ পরিশ্রমটি যদি ভূল পথে হয় তাহলে কঠোর পরিশ্রম করলেও তা অর্থহীন। আমাদের লুকায়িত শক্তি অর্জনে , সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করনে আমাদের প্রতিটি বিষয়ে চেষ্টা করতে হবে , হতে হবে অধ্যবসায়ী । যে কোন শক্তি অর্জনে আমাদের ঐ শক্তি অর্জনের লক্ষ্যে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । তবেই হবে , হওয়া যাবে সেই চেষ্টায় সফল।যথেষ্ট মেধা এবং দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও গৌরবময় ক্যারিয়ার গঠনের নিশ্চয়তা নেই। সেক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থা মেনে নিয়ে আরও চেষ্টা সাধনা করাটাই অধিকতর যৌক্তিক।হতাশা থেকে মানুষের মধ্যে আস্তে আস্তে নিজের উপর অনাস্থা বৃদ্ধি পেতে থাকে।নির্দিষ্ট সময়ে কাঙ্খিত অবস্থানে পৌছাতে না পারলেও হাল ছেড়ে দেওয়াটা চরম বোকামি। বরং বারবার প্রচেষ্টা এবং অধ্যাবসায় একজনকে পৌছে দিতে পারে সাফল্যের স্বর্নশিখরে।এক্ষেত্রে ধৈর্য্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া চাই।
মহামনীষিদের মূল মন্ত্রই ছিল চেষ্টা এবং অধ্যাবসায়।এই মন্ত্র বুকে ধারণ করে এগিয়ে যায় সফলতা অর্জনে ব্যাকুল ব্যাক্তিরা।
সফল ব্যাক্তিরা কখনো অভিযোগ করে না।সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে হাসি মুখেঃ অনেকেই নিয়তী কিংবা প্রকৃতিকে দোষারোপ করে থাকেন। কোন অবস্থাতেই প্রকৃতির সাথে বিবাদে লিপ্ত হওয়া কাঙ্খিত নয়।কোনরকম অধ্যাবসায় না করে শুধুমাত্র নিয়তীর উপর ভরসা করে বসে থাকলে যেমন সফল হওয়া যায় না, তেমনি একমাত্র চেষ্টা সাধনার মাধ্যমেও সফলতা লাভের কোন নিশ্চয়তা নেই।চেষ্টা সাধনার পাশাপশি সর্বাবস্থায় প্রয়োজন নিয়তীর উপর নির্ভর করা। তাতে পরিপূর্ণ সফলতা না আসলেও ভেঙ্গে পড়ারা কোন সম্ভবনা থাকে না। বরং নতুন উদ্যমে নতুন করে শুরু করার তীব্র সাহস জাগ্রত হয় মনে।সফলতা লাভে নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার সাথে সাথে সমাজের অবস্থা এবং সময়ের দাবীর প্রতি লক্ষ্য রাখাটাও অত্যন্ত জরুরী।সমকালীন সময়ে প্রচলিত ধারাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাইতো সফল ব্যাক্তিরা কখনো অভিযোগ করে না।সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে হাসি মুখে।
সফল ব্যাক্তিরা অন্য সফল মানুষদের অনুসরণ করেঃ সফল ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠি অতীত নিয়ে নয়, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবন যাপন করে। যে ব্যক্তি, গোষ্ঠি কিংবা জাতি অতীত আকড়ে বাচতে চেয়েছে, তারা ব্যর্থতার তলানীতে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তবুও অতীত ভুলে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। বরং সাফল্যমন্ডিত অতীত থেকে অনুপ্রেরনা এবং অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়াটাই হতে পারে ভবিষ্যত সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি। অর্থাৎ অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে কাজে লাগাতে হবে সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার উদ্দেশ্যে। এক্ষেত্রে সফল ব্যাক্তিদের অনুসরণ টা প্রভাবক হিসেবে কাজ করে । তাইতো আজ যারা প্রতিষ্ঠিত তাদের পিছনে অদৃশ্য হয়ে কাজ করেছে অন্য প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তিদের অনুপ্রেরণা।
সফল ব্যাক্তিরা দুইটি জিনিষের ওপর কখনো আশা হারায় না। এক- নিজের ওপর আস্থা, দুই-নিজের স্বপ্ন।
জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য নিজের আত্নবিশ্বাসের জায়গাটি আরও বাড়িয়ে তুলে সফল ব্যাক্তিরা। নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করে যেন সবসময় তাদের আত্নবিশ্বাসী দেখায়।যখন আত্নবিশ্বাস সম্পর্কে কেউ নিজেকে ভালভাবে জানে তখন সহজাতভাবে নিজের আত্নবিশ্বাসের জায়গাটি আরও বেশি মজবুত হয়ে যায়।এটি এক জাদুকরি শক্তি যা নিজের কর্মকাণ্ড এবং নিজের শক্তি-সামর্থের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। বলা হয়- আত্মবিশ্বাসই সফলতার মূল শর্ত।আত্মবিশ্বাসীরা নিজের স্বপ্ন পূরণে ব্যাকুল থাকে সবসময়। হোক তা সময় সাপেক্ষ তারপর ও নিজের স্বপ্নে থাকেন অটুট ও এগিয়ে যান আপন গতিতে।