• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
বোয়ালমারীতে পানির অভাবে পাটের জাগ নিয়ে শঙ্কা, চিন্তিত কৃষক

সনতচক্রবর্ত্তী ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরে বোয়ালমারী উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকদের মুখে হাসি নেই, কারণ পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।এবছর পাট জাগ দেওয়া সময় শুরু হয়েছে, এরপরও বোয়ালমারী উপজেলার অধিকাংশ কৃষক এখনো পাট কাটা শুরু করেননি। কারন এরই মধ্যে যারা পাট কেটেছেন তারা জাগ দেওয়ার জন্য পানি পাচ্ছেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি না হওয়ায় এবার বোয়ালমারী নিচু এলাকাগুলোও রয়েছে পানিশুন্য।
বোয়ালমারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা গত বছরের তুলনায় কম।
এবছর বোয়ালমারী উপজেলার আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে। পাট চাষে লক্ষমাত্রা অতিক্রম না করলেও এখন পাট কাটা মৌসুমে পানির অভাবে পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।

বোয়ালমারী গুনবহা ইউনিয়নের ফেলাননগর গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, পূর্ব পুরুষের আমল থেকে পাটের আবাদ করে আসছেন তিনি। পাটের আবাদ করে লোকসান হচ্ছে। তিনি বলেন, এলাকায় পাট জাগ দেয়ার জায়গার ভীষণ সংকট। এ সময়ে পুকুরেও পানি থাকে না। গত বছর পুকুরে পাট জাগ দিয়ে স্যালো মেশিন চালিয়ে প্রতিদিন পুকুরে পানি ভরতে হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। ফলে গত বছর পাটের আবাদ করে লোকসান হয়েছে। এ বছর ২বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করে পাট বেশ ভাল হয়েছে। উৎপাদন ভাল হবে। তবে, পানির অভাবে পাট জাগ দিতে সমস্যা থাকায় মাঠ থেকে দূরে নদীতে পাট নিয়ে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ বেশি হয়ে যাবে।

গুনবাহ ইউনিয়নের চন্দনী গ্রামের কৃষক হালিম মোল্লা জানান, বৃষ্টি বেশি হলে সমস্যা ছিল না। সময়টা এমন যে, ধান এবং পাটের জন্য পানি দরকার। এই সময়ে বৃষ্টি হলে কৃষকের উপকার হয়। সে অবস্থা এবার নেই।

বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামের কৃষক হাচান বিশ্বাস জানান, বোয়ালামারী অপেক্ষাকৃত উচু উপজেলা। এ জেলায় বন্যা হয় না। অতিবৃষ্টি হলে পাট জাগ দেওয়ার কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু এ বছর বৃষ্টিপাত হয়েছে খুবই কম। মাঠ-ঘাটে কোথাও পানি নেই। এ অবস্থায় পাট কাটার সময় হলেও,পাট জাগ দেওয়ার অসুবিধার কথা ভেবে পাট কাটতে পারছেন না।

বোয়ালমারী কৃর্ষি কর্মকর্তা প্রীতম হোড় বলেন, এ বছর মাঠে পাটের অবস্থাও ভাল। এখন পাট কাটার সময় চলছে। কিন্তু বৃষ্টি নেই। মাঠ-ঘাটে পানিও নেই। কৃষক অপেক্ষায় আছে, বৃষ্টি হলে তারা পাট কাটা শুরু করবে অনেকে। তবে, আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি, রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচালে অল্প খরচে পাট পচানো সম্ভব। এ পদ্ধতিতে পাটের মানও ভাল হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।