বাগমারা প্রতিনিধি,রাজশাহী : রাজশাহীর বাগ মারায় মায়ের হাত পিটিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে । ওই শিক্ষক উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের মঙ্গল পুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে ঈসাহাক আলী (৪৫)। ঈসাহাক আলী সৈয়দপুর -মচমইল মহিলা ডিগ্রি কলেজের সিনিয়র প্রভাষক। ঘটনাটি ঘটে ১৪ই এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধায়। এই ঘটনায় আজ রবিবার (১৯এপ্রিল) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাগমারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
>> ঘটনা ও আহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষকের ছোট ভাই পাবনা সরকারি এ্যাড ওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাষ্টার্স শ্রেণির শিক্ষার্থী ইস্রাইল বাড়ি আসেন। করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে তিনি ঘরের মধ্যে অবস্থান করছিলেন, টয়লেট এবং ওযুর প্রয়োজনে বের হতেন,তা কোনভাবেই মেনে নেননি বড় ভাই ঈসাহাক আলী। তিনি শত্রুতা করে তার ছোট ভাই ইসমাইলকে করোনা রোগী সাজানোর গুজব ছড়িয়ে পারিবারিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছিলেন। মা তখন মিথ্যা কথা বলতে বাঁধা দিলে তা নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয় । ভাইকে মারধোর ও বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইছিলেন ঈসাহাক আলী। মা সুফিয়া বেগম(৬৫) বাধা দিলে তাঁকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং তাকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। এ বিষয়টি নিয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র অবগত রয়েছে। মায়ের উপর এমন অত্যাচার অন্য কোন ছেলে মেয়েরা মেনে নিতে পারছে না,এমন কি প্রতিবেশিরাও। বয়োবৃদ্ধ মায়ের অপর সন্তান সেনাসদস্য ইস্রাফিল জানান, এর পূর্বেও মাকে ভাইয়া মানসিক, শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছেন। তিনি আরও জানান, পৈত্রিক ধন-সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা ছাড়া বেশী ভোগ দখলে রয়েছেন বড় ভাইয়া ঈসাহাক আলী। সেগুলি বুঝিয়ে চাইলে ছোট ভাইদের উপর জুলুম নির্যাতন চালান। এ ঘটনায় প্রতিবেশীদেরও হতাশা প্রকাশ করতে শোনা গেছে। মোবাইল ফোনে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, কেহ অভিযোগ নিয়ে আসেনি, বিষয়টি সমন্ধে খোঁজ নেয়া হবে বলে জানান।