মোঃ রমজান সিকদার, ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি-২০/০১/২০২১
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাই-ওয়ে এক্সপ্রেসের বগাইল টোলপ্লাজায় বুধবার দুপুরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ৪ যাত্রী নিহত সহ কমপক্ষে ২৫ যাত্রী গুরুত্বর আহত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কমর্ীরা ঘন্টাব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। গুরুত্বর ১৫ আহত যাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানায়, কাঠালবাড়ী থেকে লোকাল বাস দুরন্ত পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৩১১৪) ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। দুপুর ১২টার দিকে বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ভাঙ্গার বগাইল নাম টোলপ্লাজার আইল্যান্ডের উপর উঠে যায়। এসময় চালক নিয়ন্ত্রন হারালে বাসটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কমর্ীরা উদ্ধার অভিযান চালাই।
এসময় বাসের নিচে চাপা পড়া অবস্থায় নিহত রসিদ মোল্লা(৫৫) পিতা-আলমাস, জীবননগর চুয়াডাঙ্গার। নুরজাহান(৩৫) সহ অজ্ঞাত আরো ২ নারীর লাশ উদ্ধার করি। একই সাথে গুরুত্বর আহত আল-আমিন(১৯), মোঃ হুসাইন মোল্লা(৩০), মোঃ জাকির(৩০), রফিকুল ইসলাম(৬), আলেক সর্দার(৭৫), নুরজাহান(৪০), নুরুল আমিন(৪৫), রুপা আক্তার(৭), আব্দুর রহিম(১২), আবু হানিফ(৩২), সেন্টু মাতুব্বর(৩৫), সাব্বির(২০), সজীব মালো(২০), বর্ষা(২০) সহ বেশ কয়েকজনকে ভাঙ্গা হাসপাতালে প্রেরন করি। এদের ভেতর থেকে নুরজাহান নামের মহিলা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। আহতদের অনেকের অবস্থাই আশংঙ্কা জনক।
ভাঙ্গা হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাক্তার মহসিন ফকির জানায়, গুরুত্বর আহত রুগির সংখ্যা প্রায় ১৫ জন এদের অনেকের হাত, পা মাথা থেতলে গিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
বাসটির ভেতরে থাকা আহত যাত্রীরা এবং প্রত্যক্ষদশর্ীরা জানায়, হাইওয়ে এক্সপ্রেসের আইল্যান্ডের উপর নিমার্ন শ্রমিকেরা কাজ করতেছিল। বাসটির চালক সেন্টু মাতুব্বর বাসটিকে দ্রুত গতিতে টোলপ্লাজার ভেতরে প্রবেশ করায়। সেসময় আইল্যান্ডের অপর প্রান্তে একটি মাইক্রোবাস দাড়ানো ছিল। চালক দুর্ঘটনা এড়াতে অপর আইল্যান্ডের ভেতরে বাসটিকে প্রবেশ করাতে চেষ্টা করে। সেসময় চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাসটিকে আইল্যান্ডের উপর উঠিয়ে দেয়। এতে করে বাসটি মুহুর্তের মধ্যে উল্টে যায়। সেসময় সকল যাত্রী বাস থেকে অপরদিকে পরে যায়। এবং অনেক যাত্রী বাসটির নিচে চাপা পড়ে। স্থানীয় শ্রমিক ও সেনাবাহিনী দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে অনেক যাত্রীকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ বগাইল টোলপ্লাজার চারপাশে নিয়মবর্হিভুত ভাবে এবং ভাঙ্গা চৌরাস্তার ফ্লাইওভারের চারপাশে এবং বরিশাল গামী কুমার নদীর উপর ফোরলেন ব্রীজের উপর বাস, ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা, সোনার বাংলা নামক বিভিন্ন যানবাহন পার্কিং করে রাখা হয়। এতে করে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট খাট দুর্ঘটনা।