দিনভর মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বেড়েছে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি। এতে প্লাবিত হয়েছে জেলা নিন্মাঞ্চল। পানি ঢুকে পড়েছে নদী তীরের প্রায় ৩০টি গ্রামে এবং ঝালকাঠি পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত সুগন্দ্বা তীরবর্তী এলাকা গুলোতে। এতে তলিয়ে আছে ফসলের ক্ষেত। পানি ছুইছুই মাছের ঘেরগুলোতে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঘূণিঝড় আম্ফানে ও কোভিড ১৯ এর ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পাড়া মানুষ।
নদী তীরের বাসিন্দারা জানান, গত তিন দিন ধরে টানা বিস্টির কারনে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪/৫ ফুট বেড়েছে। এতে ঝালকাঠি সদর, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ার অন্তত ৩০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ভেঙে যাওয়া অরক্ষিত বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ পার করে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। বসতঘরেও পানি ঢুকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নদী তীরের বাসিন্দারা। রাতে পানি আরো বাড়লে মাছের ঘের ও বসতঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
এদিকে ঝালকাঠি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন সুগন্দ্বা তীরবর্তী বসবাসরত কিছু মানুষের বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে,
ভুক্তভোগী আঃ ওহাব জানান যে, এলাকার জনপ্রতিনিধি রা আমাদের দুর্দশা র খবর নিচ্ছে না,আর্থিক অভাবের কারনে অন্যত্র ঘর নির্মান করতে না পেরে জীবনের ঝুকি নিয়েও বৃদ্বা মা ও শিশুদের নিয়ে নদীর পাড়ে শেষ আশ্রয়েই অবস্থান করছি।
এমতাবস্থায় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন নদীতীরবর্তী এলাকাবাসী।