ফরিদপুর বর্ধিত পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে দায়ীত্ব গ্রহনের শুরুতেই সরকারী গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
এলাবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধিত পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: হাণিফ শেখ ৮/১০ জন গাছ কাটার শ্রমিক নিয়ে পারচর সরকারী প্রাথমীক বিদ্যালয়ের গাছ কাটে।
এ সময় বড় বড় মেহগণী ও আকাশী গাছসহ ৭ টি গাছ (যার আনুমানিক বাজার মুল্য ২ লক্ষ্য টাকার বেশি) একে একে কর্তন করে। গাছ কাটার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইমদাদুল হক ও স্থানীয় বাসিন্দারা গাছ কাটায় বাঁধা দেয় এবং প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলরের লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিষয়টি ১৮ জানুয়ারী রবিবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী ফরিদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর গাছ কাটা বন্ধ ও অবৈধ গাছ কাটার ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুম রেজার সাথে বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, গাছ কাটার বিষয়ে অবগত হওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে আমার লোক পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে, কাটা গাছ গুলো উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা হয়। ইতি মধ্যে উক্ত বিষয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
কমিটির তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই দেতাষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক বলেন, কাউন্সিরর এর গাছ কাটার বিষয়টি অবগত ছিলাম না। তার গাছ কাটার কথা শুনে ব্যাপার প্রথমে বুঝে উঠতে পারি নাই। পরে অবৈধ ভাবে গাছ কাটা হচ্ছে, নিশ্চিত হয়ে আমি জেলা শিক্ষা প্রাথমিক অফিসকে অবগত করি। এরপরেই উপজেলা প্রশাসনের লোকজন এসে কাটা গাছ গুলি সিলগালা করে নিলামের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন আমাদের কমিটির কাউকে না জানিয়ে কাউন্সিলর হানিফ শেখ সরকারি গাছ গুলি কেটে নিজেই আতœসাৎ করার চেষ্টা করছিল।
তিনি আরো বলেন, হানিফ শেখ নির্বাচিত হওয়ার পরে এলাকার বয়জিষ্ঠ্য লোকদের কথা তোয়াক্কা না করে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। কিছুদিন আগে বিনয় মাষ্টার নামে এক সম্মানী ব্যাক্তিকে গালিগালাজসহ মারধোরের হুমকি দিয়েছিলেন কাউন্সিলর। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাউন্সিল হানিফ শেখ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, পারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালযের নতুন ভবন নির্মান হবে বলে, নতুন ভবন নির্মানের যায়গায় গাছ থাকায় আমি উর্ধোতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে গাছ গুলি কেটেছি। কিন্তু উর্ধোতন কর্মকর্তাগণ বর্তমানে বিষয়টি অস্বীকার করায় সরকারি গাছ কেটে আমার অন্যায় ও ভুল হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমি মৌখিক অনুমতি নিয়েছিলাম বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের স্বার্থে। এতে এলাকাবাসী আমার উপরে বিরুপ মন্তব্য করছে। যাই হোক সরকারি গাছ গুলি কাটার জন্য আমি সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। এলাকাবাসীর দাবি এই দূর্নীতিবাজ নবনির্বাচিত কাউন্সিলর বিভিন্ন সরকারী সম্পদ আত্ন্যসাদ এর পায়তারা করে আসছে বলে উপস্থিত এলকাবাসী অভিযোগ করেন।