আলমগীর কবির,আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর)প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আজ রবিবার ২০ জুন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে স্কুলে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার পথে লম্পট আকিদুল(২০) কর্তৃক ৩য় শ্রেনীর এক ছাত্রী (৮) ধর্ষনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের শংকর মন্ডলের নাবালিকা শিশু কন্যা নওয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয়(৩য়) শ্রেনীর ছাত্রী। ঘটনার দিন ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে যাওয়ার পথে একই গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী সেলিমের ছেলে রাজমিস্ত্রী আকিদুল (২০) তাকে সনজিৎ কুন্ডুর বাড়ির পাশে চলতি রাস্তায় পানি জমে থাকায় শুকৌশলে ভুল রাস্তা দিয়ে নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে জোর পূর্বক ধর্ষন করে।
ধর্ষিতার শোর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে ধর্ষক আকিদুল দৌড়ে পালিয়ে যায়।
অসুস্থ্য অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তাকে দ্রুত আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।সেখানে তার অবস্থার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিসে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে কর্তব্যরত ডাঃ ছরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে ও ধর্ষিতার বর্ণনায় ও ছবি দেখে সন্দেহ ভাজন লস্পট আকিদুলকে এলাকাবাসি আলফাডাঙ্গা হাসপাতালের সামনে থেকে ধর্ষক লম্পট আকিদুল কে ধরে থানায় সংবাদ দিলে থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তাকে আটক করে থানা হাজতে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় সহকারি পুলিশ সুপার সুমন কর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিদুল তালুকদার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রীতিকনা বিশ্বাস শিশুটিকে চিকিৎসা সহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য তার পরিবারের পাশে থাকার ঘোষনা দিয়েছেন।
শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি শুনে আলফাডাঙ্গা পৌর মেয়র মো. সাইফুর রহমান সাইফার হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং তার পরিবারকে আইনি ও সার্বিক সহযোগিতা ও নগদ অর্থ প্রদান করেন।
ধর্ষক আকিদুল কে আসামি কে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়।