করোনাভাইরাস প্রথম ছড়িয়ে পড়ে চীনের উহানে। আর এখন ১৮৫টি দেশের ২৪ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত। এক লাখ ৬৫ হাজার দুইশ মানুষ করোনার মারণ থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন। করোনার হাত থেকে সুস্থ হয়ে বেঁচে ফিরেছেন ছয় লাখ ২৮ হাজার আটশ মানুষ। আর করোনার আক্রমণকে প্রতিহত করা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে একের পর এক গবেষণা চলছে। গবেষণায় যে তথ্য আসছে, তা রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো করোনাভাইরাস নিয়ে এক নয়া তথ্য।
মার্কিন এক গবেষণা বলছে, করোনার উপসর্গ অনেকের মধ্যে দেখা দিচ্ছে না। ফলে ধরাও যাচ্ছে না যে কার করোনা রয়েছে। এদিকে, তাদের দেহে করোনা দানা যেমন বাঁধছে, তেমনই আবার গোপনে বেরিয়েও যাচ্ছে বলে দাবি গবেষণাপত্রের। ফলে বিশ্বে কতোজনের দেহে এমন করোনা লুকিয়ে রয়েছে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
করোনা টেস্টিংয়ে ধরা পড়ছে। মার্কিন গবেষণা পত্রটি বলছে, টেস্টিং যাদের হয়নি অথচ উপসর্গবিহীন এমন করোনা হয়ে রয়েছে, সেই ব্যক্তিদের নিয়ে উদ্বেগ বেশি। আর করোনার এই গোপন রূপটি অনেক বেশি ভয়াবহ। আরো এক নতুন গবেষণা বলছে, করোনা রোগীদের রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই শরীরে দানা বাঁধছে ভাইরাস। শুধু তাই নয়, করোনা রোগীদের থেকে এই সময়ই আবার ছড়িয়ে যাচ্ছে। যার ফলে মানুষ কিছু টের পাওয়ার আগেই করোনা বাসা বাঁধছে শরীর জুড়ে।
মার্কিন গবেষণাপত্রটি বলছে, মানবদেহের নাক ও গলার থেকে সোয়াব নিয়ে করোনার টেস্টিং হচ্ছে। সেই ব্যক্তি প্রথম দিন নেগেগিভ এলেও পরের দিন পজিটিভ আসছে। তার কারণ করোনা টেস্টিং এর দিন নাক বা গলার সোয়াবে সেভাবে থাবা বসাতে নাও পারে। পরের দিন তা বসাতে পেরেছিল। ফলে বিভ্রান্তি থেকেই যাচ্ছে। তবে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যে টেস্টিং হচ্ছে তা সঠিক ফলাফল দিতে পারে করোনার ক্ষেত্রে। এমনই দাবি গবেষকদের।
সূত্র: ওয়ানইন্ডিয়া।