• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
করোনা: বাংলাদেশে আগস্টে চীনা টিকার চূড়ান্ত পরীক্ষা

চীনের সিনোভ্যাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার (ভ্যাকসিন) তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) বাংলাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছে, আগামী আগস্টেই আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করতে পারবে। শুরুর পর সর্বনিম্ন ছয় সপ্তাহ ও সর্বোচ্চ তিন মাস সময় লাগতে পারে পরীক্ষা শেষ হতে। পরীক্ষায় সফল হলে ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হবে।

ট্রায়ালের অংশীদার দেশ হিসেবে ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার থাকবে সবচেয়ে বেশি।
গতকাল রবিবার বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) আইসিডিডিআর,বিকে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষার অনুমোদন দেয়। সংস্থাটি পরীক্ষার প্রটোকল জমা দিয়েছিল। প্রটোকল অনুযায়ী, দেশের সাতটি হাসপাতালের মোট ২ হাজার ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর এ টিকার পরীক্ষা করা হবে। হাসপাতালগুলো হলো মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিট-১, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইউনিট-২ ও ঢাকা মহানগর হাসপাতাল।

এ ব্যাপারে বিএমআরসির পরিচালক ডা. মাহমুদ উজ জাহান গতকাল দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিএমআরসির ন্যাশনাল রিসার্চ ইথিকস কমিটি চীনের একটি ভ্যাকসিনের বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। আমাদের এখানে এর সেফটি ট্রায়াল হবে। আইসিডিডিআর,বি করবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ট্রায়াল হবে।

কত দিনের মধ্যে শুরু হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অনুমোদন দিয়েছি। এখন কিছু প্রক্রিয়া বাকি আছে। কবে থেকে শুরু করতে পারবে, সেটা আইসিডিডিআর,বি বলতে পারবে। করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষার বাংলাদেশে আগস্টে চীনা টিকার চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুমোদন পাওয়ার মধ্য দিয়ে করোনা প্রতিরোধে বিশ্বে টিকার আবিষ্কারের সম্ভাবনা আরেক ধাপ এগোল বলে মনে করছেন দেশের চিকিৎসা গবেষকরা। তাদের মতে, সাধারণত ফেস-টু বা দ্বিতীয় ধাপ পরীক্ষা (সীমিত সংখ্যক মানুষের মধ্যে টিকার প্রয়োগ) বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেই ধাপে উত্তীর্ণ হয়ে তৃতীয় ধাপে এসেছে। আশা করছি বাংলাদেশে ভাইরাসের সিকোয়েন্স খুব বেশি পরিবর্তন হয়ে না থাকলে টিকার পরীক্ষা সফল হবে এবং বিশ^ করোনার টিকা পাবে।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন মিয়া দেশ রূপান্তরকে বলেন,  বাংলাদেশে যে ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হতে যাচ্ছে, সেটার ব্যাপারে  আমি আশাবাদী। কারণ যেকোনো ভ্যাকসিন ও ড্রাগ ট্রায়াল দিতে গেলে হিউম্যান বডিতে দেওয়ার আগে অ্যানিমেলে প্রয়োগ করে। সেটা যখন ভালো হয়, শতভাগ ফল পায়, তখনই হিউম্যান বডিতে দেয়। এখন এই ভ্যাকসিনটার শেষ ট্রায়াল হচ্ছে। এর আগে চীন ফেস-২, অর্থাৎ সীমিত সংখ্যক মানুষের দেহে পজিটিভ রেজাল্ট পেয়েছে। সুতরাং আমরা সফলতা নিয়ে আশাবাদী। এখন হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য আমাদের স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের মোটিভেট করতে হবে।

এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, পৃথিবীর ১১৫টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এত বিজ্ঞানী গবেষকরা চেষ্টা করছেন, একটা না একটা তৈরি হবেই। পৃথিবীতে বহু ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেছে। একসময় স্মলপক্সে বহু মানুষ মারা গেছে। পৃথিবীতে প্রথম এই রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় ও পৃথিবী থেকে রোগটি নির্মূল হয়ে যায়। তারপর ডিপথেরিয়া, টিটেনাসসহ বহু ভ্যাকসিন এসেছে। সুতরাং আমি খুবই আশাবাদী।

এখনো অধিদপ্তরে চিঠি আসেনি : টিকার পরীক্ষা শুরুর প্রক্রিয়া কী জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র ও সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিএমআরসি ইথিক্যাল অনুমোদন দিয়েছে। সে চিঠি অধিদপ্তরে আসবে। অধিদপ্তর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। মন্ত্রণালয় প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন দিলে সেটা যাবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে। এই সংস্থা যারা ট্রায়াল করবে তাদের প্রস্তুতি ঠিক আছে কি না, সেটা দেখবে। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হবে। তারপর আইসিডিডিআর’বি সেই ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য আনতে পারবে। এরপর যে সাতটি হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ট্রায়াল হবে, সেসব হাসপাতাল ও ভলান্টিয়ার রাজি হলে, তখনই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। অনেক প্রস্তুতির ব্যাপার আছে।

এই মুখপাত্র আরও জানান, বিএমআরসির অনুমোদনের চিঠি এখনো অধিদপ্তরে আসেনি। এলে এটার ব্যাপারে একটা আলাদা কমিটি হবে। তবে যত তাড়াতাড়ি ট্রায়ালটা শুরু করা যায়, সে চেষ্টা করা হবে। কারণ ভ্যাকসিন তো খুব দরকার।

আগস্টে শুরু হতে পারে পরীক্ষা : এই টিকার পরীক্ষা কবে নাগাদ শুরু হতে পারে জানতে চাইলে আইসিডিডিআর’বির পক্ষ থেকে ‘এখনো কথা বলার সময় আসেনি’ বলে প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে।

তবে আইসিডিডিআর’বির গবেষকদের সঙ্গে টিকার পরীক্ষা নিয়ে কথা হয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এমন এক গবেষক দেশ রূপান্তরকে বলেন, এখনো চীনের যে কোম্পানির ভ্যাকসিন তাদের সঙ্গে আইসিডিডিআর’বির ট্রায়ালের ব্যাপারে লিখিত চুক্তি হয়নি। ফলে যেকোনো কারণে তারা পেছাতে পারে। তাই খুব সাবধানে এগোচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। অনেক দেশই ট্রায়ালের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। কারণ যারা ট্রায়ালে অংশ নেবে, সে দেশ আগে ভ্যাকসিন পেতে পারে। বাংলাদেশের আগে ব্রাজিলও এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয়। সেখানে ট্রায়াল শুরু হয়েছে।

কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হতে পারে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, এটা এখনো বলা যাচ্ছে না। কারণ অনেক কাজ বাকি। রিসার্চ প্রটোকলটা বিএমআরসি অনুমোদন দিয়েছে। দেশেই আরও কিছু প্রক্রিয়া আছে। এর আগে মে ও জুনে শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। কিন্তু শুরু হয়নি। তবে আইসিডিডিআর’বি চাইছে তাড়াতাড়ি শুরু করতে। কারণ কভিডের প্রাদুর্ভাব থাকতে থাকতে শুরু করা দরকার। এই ভ্যাকসিন নিলে প্রটেকটেড হবে। প্রাদুর্ভাব কমে গেলে সংক্রমণ এমনিতেই কমে যাবে। ভ্যাকসিনের সুফলটা ভালো আসবে না।

পরীক্ষা শেষ হতে সর্বনিম্ন ছয় সপ্তাহ, সর্বোচ্চ তিন মাস : বিএমআরসির যে ন্যাশনাল রিসার্চ ইথিকস কমিটি টিকা পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে, সেই কমিটির সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ। তিনি  বলেন, ফেস-টু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা চীনে হয়ে গেছে। এরপর ফেস-থ্রি বা শেষ ধাপ ছয় সপ্তাহের মধ্যে শেষ করা যায়। কারণ ফেস-টুর একটা বড় সংস্করণ হচ্ছে ফেস-থ্রি। ফেস-টুতে দেখা হয়েছে ভ্যাকসিনটা মানুষকে দেওয়া যায়। সেটাই আরেকটু বড় আকারে প্রয়োগ করা।

তবে পরীক্ষা শেষ হতে সর্বোচ্চ তিন মাস লাগতে পারে বলে মনে করেন  অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন মিয়া। তিনি বলেন, যাকে ভ্যাকসিন দেবে, তার মধ্যে অ্যান্টিবডি রেসপন্সটা দেখতে হবে। সাধারণত এখন দুটি ডোজ দেওয়া হচ্ছে। একটা ডোজ দেওয়ার এক সপ্তাহ পর আরেকটা ডোজ দেয়। ১৪ দিন পর অ্যান্টিবডি লেভেলটা দেখা হয়। অ্যান্টিবডি লেভেল ঠিক থাকলে ধরে নেওয়া হয় যে ভ্যাকসিনটা কার্যকর হবে। এভাবে সবার মধ্যে ট্রায়াল শেষ করে ফল পেতে দুই-তিন মাস সময় লেগে যেতে পারে।

কোন প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা : টিকার পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন মিয়া বলেন, এটা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই কত দিনের মধ্যে করতে হবে। তবে যেহেতু ভ্যাকসিন দরকার, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রায়ালটা শুরু হওয়া ভালো। একটা বিষয় পরিষ্কার হতে হবে। এই ভ্যাকসিন যাদের দেবে, তাদের অ্যান্টিবডি টেস্ট করে দিতে হবে। যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি আছে, তাদের দিয়ে কোনো লাভ হবে না। যারা সংক্রমিত হয়নি, যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি নেই, তাদের দিতে হবে।

এই গবেষক বলেন, ট্রায়াল শেষ হলে বাংলাদেশ ট্রায়ালের ফল প্রকাশ করবে। অ্যান্টিবডি লেভেল দেখে তারা বলবে কত শতাংশ লোকের মধ্যে অ্যান্টিবডি ডেভেলপ করেছে। সাধারণত শতভাগ সফল হতে হবে। অর্থাৎ যাদের ভ্যাকসিন দেবে তাদের শতভাগের মধ্যে অ্যান্টিবডি ডেভেলপ করতে হবে। স্মলপক্স, ডিপথেরিয়া, টিটেনাসসহ বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে যেসব ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, সেসব ক্ষেত্রেও শতভাগ অ্যান্টিবডি ডেভেলপ হয়েছে। শুধু কার্যকর হলেই হবে ন, মানবদেহের জন্য নিরাপদ হতে হবে, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হয়, সেটাও দেখতে হবে।

আইইডিসিআরের পরামর্শক ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, চীনে এই ভ্যাকসিনের গুরুত্বপূর্ণ স্টেজ পার করেছে। প্রথম পর্যায়ে প্রাণীর ওপর, তারপর সীমিত সংখ্যক মানুষের মধ্যে প্রয়োগ করে দেখেছে নিরাপদ কি না। এখন আরেকটু বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর যারা সচেতন, তাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়। এমনকি বাজারে ছাড়ার পর আরেকবার পর্যবেক্ষণ হয়। দেখা হয় ঠিকমতো প্রয়োগ হচ্ছে কি না।

জিন পরিবর্তন পরীক্ষায় খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না : প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই করোনাভাইরাস জিন পরিবর্তন করছে। সর্বশেষ গতকাল বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ জানিয়েছে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৫৯০ বার জিন পরিবর্তন করেছে করোনাভাইরাস। এর মধ্যে ৮টি একেবারেই নতুন মিউটেশন, যা বিশ্বের আর কোথাও হয়নি; কেবল বাংলাদেশেই হয়েছে। তবে এভাবে জিন পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে চীনের টিকার ক্লিনিক্যালি পরীক্ষার ফলে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন মিয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জিন পরিবর্তনের যে প্রক্রিয়া বা ধরন, তাতে দেখা গেছে ৯৫ শতাংশের মতো সিকোয়েন্স ঠিক আছে। তার মানে ভ্যাকসিনের ওপর খুব একটা প্রভাব পড়বে না। তারপরও যেহেতু রূপ বদলায়, ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে একদম সঠিক সিকোয়েন্স থাকতে হয়। কারণ ভ্যাকসিন দেয় টকসিনের বিরুদ্ধে। ভ্যাকসিন কাজ করবে ওই টকসিনের বিরুদ্ধেই। এ জন্য যে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য নেওয়া হচ্ছে ওই ভ্যাকসিনের সঙ্গে আমাদের দেশে ভাইরাসের সিকোয়েন্সের মিল আছে কি না, ভ্যাকসিনটা কাজ করবে কি না, সেটা অবশ্যই দেখতে হবে।

সফল হলে টিকা আগে পাবে বাংলাদেশ : চীনের এই টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার সফল হলে উৎপাদিত টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে বলে মনে করেন গবেষকরা। অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন মিয়া বলেন, ট্রায়াল সফল হলে আইসিডিডিআর’বি ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে। কারণ তারা কলেরা ভ্যাকসিন করেছে। তবে সেটা নির্ভর করবে চীনের ওপর, যদি তারা অনুমতি দেয়। তবে ভ্যাকসিন কত দ্রুত পাওয়া যাবে, সেটা নির্ভর করবে বাংলাদেশের উদ্যোগের ওপর, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর। তবে যেহেতু ট্রায়ালটা আমাদের দেশে হচ্ছে, তাই সফল হলে আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে।

ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এই ট্রায়ালের অনুমোদন পাওয়ায় বাংলাদেশের জন্য ভালো হলো। সফল হলে আমরা সহজেই ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। এখানে উৎপাদনের অনুমতি দিলে তো খুবই ভালো। আর যদি চীনে উৎপাদন হয়, তা হলে আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে।

অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ  বলেন, বাংলাদেশে চীনের ভ্যাকসিনের ফেস-থ্রি মাল্টি সেন্টার ট্রায়াল হলে আমরা খুশি হব, স্বাগত জানাব। তবে ভ্যাকসিন ট্রায়ালটা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে দিতে হবে। যাতে রেজাল্টে কোনো ভুলত্রুটি না থাকে। কারণ এতে অনেক মানুষের জীবন ও বাংলাদেশের সম্মানও জড়িত। আমরা যদি ট্রায়ালে অংশ নিই এবং সফল হই, তাহলে অবশ্যই ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক বড় ভূমিকা থাকবে। আমরা দ্রুত পাব।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

অক্টোবর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« সেপ্টেম্বর    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।