• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং
শাসক নয় সেবক হয়ে ২ যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছি -মেয়র আবু ফয়েজ মোঃ রেজা

ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার টানা ২ যুগের সময়ে দায়িত্ব পালন করে আসা মেয়র আবু ফয়েজ মোঃ রেজা স্থানীয় সাংবাদিকদের একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, শাসক নয় সেবক হয়ে টানা ২ যুগ যাবৎ ভাঙ্গা পৌরবাসির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও যতদিন পৌরবাসি চাইবে তাদের সেবা দিয়ে যাব। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালি করতে পৌরবাসিকে সাথে নিয়ে সামনের দিনগুলোতে আরো কাজ করব ইনশাল্লাহ্। শুরুতে সি গ্রেডের পৌরসভার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টির কারনে আজ ভাঙ্গা পৌরসভা এ গ্রেডে উপনিত হয়েছে। ভাঙ্গা পৌরসভার মধ্যে অন্যতম একটি স্থান ও দক্ষিনবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসাবে সুপরিচিত ভাঙ্গা বিশ্বরোড চৌরাস্তা মোড়ে বর্তমান সরকার যে উন্নয়নের মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তাতে আগামীতে আমাদের এই পৌরসভা দেশের মধ্যে মডেল পৌরসভায় পরিনত হবে। ভাঙ্গা পৌরসভাকে মডেল পৌরসভায় রূপান্তরিত করার জন্য পৌরবাসি, রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ, প্রশাসন সহ সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

জানা যায়, ভোগ বিলাসবিহীন সাদামাঠা জীবন যাপনে বিশ্বাসী মেয়র আবু ফয়েজ মোঃ রেজা। জন্মসুত্রে ভাঙ্গা পৌরসভার (সাবেক ভাঙ্গা ইউনিয়ন) নুরপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মিয়া পরিবারে ১৯৫৭ সালে তার জন্ম। আশির দশকে বিএ পাস করে দীর্ঘ ১ যুগের বেশী সময় বিআরডিবি(টিসিসিএ) এর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৮৬ সালে তার আপন ভগ্নিপতি তৎকালীন ভাঙ্গা উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি মরহুম ডাঃ শওকত আলী ফকিরের হাত ধরে আওয়ামী রাজনীতি শুরু করেন সে। মেয়র বিবাহ জীবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মামাত ভাই খোকামিয়ার মেয়েকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেন। সংসার জীবনে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা ডিবি লটারিতে জয়ী হয়ে বর্তমানে আমেরিকায় স্থায়ী বসবাস করিতেছে। স্ত্রী সন্তান আমেরিকায় বসবাস করলেও নাড়ীর টানে ও পৌরবাসির অকৃত্রিম ভালবাসায় নুরপুর গ্রামের পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তিনি। দীর্ঘদিন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসলেও তার কাছে দলমত নির্বিশেষে সকল নাগরিককেই সমান সুযোগ সুবিধা দেওয়ার নজির রয়েছে। তিনি মেয়র ও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রাপ্ত সম্মানী সরকারি ভাতা বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং দুস্থ্য ব্যাক্তিদের মাঝে বিতরন করে দেন। পৈত্রিক জমি-জমা ও দোকানপাট ভাড়া থেকে আয় দিয়ে নিজের সংসার চালিয়েও অসহায়দের পাশে দাড়ানো তার সহজাত প্রবৃত্তি।

১৯৯৭ সালে প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে ভাঙ্গা পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে ২০০২ সালে জনগনের ভোটের মাধ্যমে পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এরপর হতে অদ্যবদি তাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয় নাই। তার সেবার জন্য জনগন তাকে বারবার বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত করে আসছেন।

কথা প্রসংগে তিনি আরো বলেন, পৌরবাসি যতদিন চাইবে আমি তাদের ততদিন সেবা দিয়ে যাব। মডেল পৌরসভা হিসাবে ভাঙ্গাকে রূপান্তরিত করাটাই এখন আমার স্বপ্ন। ইতিমধ্যে পৌরসভার সকল এলাকায় বিদ্যুৎ, পয়ঃনিস্কাশন, পানি সরবরাহ, রাস্তার বাতি, রাস্তাঘাট নিমার্ন করেছি।

ঐতিহ্যবাহী কুমার নদী রক্ষায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে আগামীতে কুমার নদীর দুইধারে চওড়া রাস্তা নিমার্ন করে ইকোপার্ক তৈরীর পরিকল্পান হাতে রয়েছে। পৌরবাসিকে সাথে নিয়ে রাজধানী ঢাকার পরেই যাতে ভাঙ্গা পৌরসভা একটি আধুনিক শহর হয় সেই লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছি।

মেয়র এসময় আরো উল্লেখ করে বলেন, পদ্মা সেতুর দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের জন্য আর্শিবাদ। আর এই সেতু নির্মানে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা তার চ্যালেঞ্জকে বাস্তবায়ন করেছে। পদ্মা সেতুর কারনে আগামীতে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের জীবন মানের পরিবর্তন ঘটবে। হাই-ওয়ে এক্সপ্রেক্স এর শেষ গন্তব্য স্থল দৃষ্টি নন্দিত গোল চত্বর ভাঙ্গাতেই তৈরী করা হয়েছে। আগামীতে ভাঙ্গা পৌরসভাকে আধুনিক মডেল পৌরসভায় উন্নতি করতে দলমত সকলের সাহায্য কামনা করেছেন তিনি।

আসন্ন পৌর নিবার্চনকে সামনে রেখে মেয়র বলেন, আর কয়েকমাস পরেই পৌর নিবার্চন। আমাকে জনগন ইতিপুর্বে যেভাবে চেয়েছে তা তারা পেয়েছে। আমি আমার পরিবার পরিজন ছেড়ে জনগনের মা- বাপের ভিটায় পড়ে আছি। আমি ইচ্ছে করলে স্বপ্নের দেশ আমেরিকাতেও আরাম আয়েশে জীবন যাপন করতে পারতাম। আমি জনগনকে ভালবেসে তাদের পাশে রয়েছি। এই নিবার্চনেও জনগনের জন্য কাজ করতে তাদের সমর্থন আশা করি।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« জানুয়ারি    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।