জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপির ছোট ছেলে ও কৃষি গবেষক শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী এবং পুলিশ প্রশাসনের প্রচেষ্টায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সহিংসতা মারামারি-সংঘর্ষ আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। সালথার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, একসময়ে সালথা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুরের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার কথা প্রায়ই শোনা যেত। এতে অনেক মায়ের কোল খাণি হয়েছে। বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়ে দিনের পর দিন হাসপাতালের বিছানায় দিন-রাত কাটিয়েছেন। এরমধ্যে অসংখ্য পরিবার ঘর বাড়ি ছাড়া হয়েছে। শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়ে জেল খেটেছেন। চারিদিকে ছিলো শুধু অশান্তি আর অরাজকতা।
ঠিক তখন (গত ২০১৮ সালের মার্চ মাসে) সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রতিনিধি পরিবর্তন হওয়ায় উপজেলার সংঘর্ষ মারামারি কমতে শুরু করে। অনাকাঙ্খিত দুই-চারটি ঘটনা ছাড়া আগের মতো বড় ধরণের কোনো সহিংসতা তেমন নেই। সহিংসতা নিরসনের চেষ্টা করার দাবীদার সংসদ উপনেতার ছোট ছেলে লাবু চৌধুরী ও পুলিশ প্রশাসন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুর রহমান বলেন, মাননীয় সংসদ উপনেতার রাজনৈতিক প্রতিনিধি শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর ইতিবাচক নেতৃত্ব ও উপজেলা প্রশাসন-পুলিশ প্রশাসনের প্রচেষ্টায় জন-সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ছেলে-মেয়েরা লেখা পড়ার মান উন্নত হয়েছে। মানুষ আজ বুঝতে পারছে সংঘর্ষ মারামারি সমাজকে ধ্বংস করে। তাই এসব বিশৃঙ্খলা থেকে মানুষ ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বল্লভদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্টপুত্র শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী কখনও এক তরফাভাবে নেতৃত্ব দেন না। তিনি সালথা-নগরকান্দার নেতাকর্মীদেরকে এক সঙ্গে রাখার চেষ্টা করেন। অন্যায়কারীকে কখনও প্রশ্রয় দেন না। যার জন্য পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেন। রাজনৈতিক নেতৃত্ব সঠিক থাকায় এবং পুলিশ নিরপেক্ষ হওয়ায় সালথা উপজেলার সহিংসতা কমেছে।
সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাওয়াল ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক উজ্জামান ফকির মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রানপ্রিয় নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপির আদর্শ বুকে ধারণ করে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী সবাইকে এক সাথে রেখে রাজনীতি শুরু করেন। লাবু চৌধুরী ও পুলিশ প্রশাসনের প্রচেষ্টায় এক সময়ের অশান্ত সালথা কিছুটা শান্ত হয়েছে। কমে গেছে সংঘর্ষ, মারামারি, চাঁদাবাজী-সন্ত্রাসী, গুম ও হত্যা। মানুষ দু-মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে শান্তিতে বসবাস করছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে আগে সংঘর্ষ লাগত। এখন আমাদের নেত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পুত্র লাবু চৌধুরী কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না। আমরাও প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো।
সংসদ উপনেতার সহকারী একান্ত সচিব মোঃ শফি উদ্দিন বলেন, মাননীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রতিনিধি শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী কখনও অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেন না। সালথা-নগরকান্দার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মায়ের মতো তিনি সালথা-নগরকান্দা ও কৃষ্ণপুরবাসীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করবেন।
২১ জুলাই ২০২০