নগরকান্দা ( ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার দহিসারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আয়া ও নৈশ্যপ্রহরি নিয়োগে আর্থিক বানিজ্য সহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়োগে মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুর্বেই প্রার্থী বাছাই করে রাখার অভিযোগ উঠে।
সূত্রে জানা যায়, দহিসারা দাখিল মাদ্রাসার আয়া ও নৈশপ্রহরী পদে দরখাস্ত আহবান করে গত ২ জানুয়ারি জাতীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। দুটি পদের বিপরীতে ১৪ জন নারী পুরুষ আবেদন করলেও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আরিফুর রহমান পথিক ও মাদ্রাসা সুপার এনামুল হক খান নির্দিষ্ট দুই জনের কাছ থেকে অর্থিক সুবিধা নিয়ে প্রার্থী বাছাই করে রাখেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। গত শুক্রবার ২০মে সকালে নগরকান্দা চরযশোরদী ইউনিয়নের দহিসারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ন হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের সংবাদ পেয়ে সংবাদ কর্মীরা মাদ্রাসায় গিয়ে মাদ্রাসার সুপারের নিকট নিয়োগকৃত প্রার্থীদের কাগজ পত্র দেখতে চাইলে মাদ্রাসার সুপার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, এবং ডিজি প্রতিনিধিসহ সকলেই দ্রুত মাদ্রাসা ত্যাগ করেন। এসময় সুপারের মোবাইল ও ডিজি প্রতিনিধির সিলপ্যাড ভুলে ফেলে রেখে যান। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পরীক্ষাটা ছিল একটা সাজানো নাটক মাত্র। যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদেরকে আগেই সিলেক্ট করে রাখা হয়েছিল। এমনকি পরীক্ষার পর আমাদেরকে চলে যেতে বলেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি বুঝতে পেরে নির্দিষ্ট দুইজন ব্যাতিত আমরা বাকিরা পরীক্ষার পরেই মাদ্রাসা ত্যাগ করে চলে আসি। উল্লেখযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ন হলেও এবিষয়ে মাদ্রাসার অভিবাবক সদস্য, সাবেক সভাপতি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই জানেন না বলে জানা গেছে। প্রতিষ্টানের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, বর্তমান সভাপতি আরিফুর পথিক ঘরোয়া পরিবেশে অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করেছেন।
নিয়োগে অনিয়ম ও কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ এনামুল হক খান বলেন, কাগজপত্র দেখানোর ব্যাপারে ডিজি প্রতিনিধির নিষেধ রয়েছে। তাছাড়া আমি ৩ দিনের ছুটিতে থাকবো। তাড়াহুড়ো করে মাদ্রাসা ত্যাগের বিষয়ে তিনি জানান, ডিজি প্রতিনিধিকে এগিয়ে দিতেই তিনি তড়িঘড়ি করে মাদ্রাসা থেকে চলে যান। যার ফলে আপনাদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয় নি।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আরিফুর রহমান পথিক বলেন, যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার বাবা এই মাদ্রাসায় পুর্বে জমি দান করেছিলেন। সেই দিক বিবেচনায় রেখেই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে করো কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া হয় নি।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভুমি এন,এম,আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিনি নিয়োগের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। পরবর্তীতে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
শফিকুল খান জনি
২১ মে ২০২২।