মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
বিল বকেয়া থাকায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা মডেল মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়েছেন মুসল্লীরা। তারা অন্ধকারেই নামাজ আদায় করছেন। সোমবার সকাল ৭টার দিকে বিদ্যুতের এই সংযোগ কেটে দেন ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সালথা সাব জোনাল অফিসের কর্মীরা।
মসজিদের খাদেম সজিব খান বলেন- মসজিদের বিদ্যুতের বিল অনেক বাকি পড়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন। যেই কারণে গত দুই দিন ধরে মসজিদের কার্যক্রম চলছে চরম ভোগান্তীর মধ্যে দিয়ে। তীব্র গরমের মধ্যে বিশেষ করে সন্ধ্যার পর নামাজ আদায় করতে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কর্তপক্ষ এখনও কোন সিদ্ধান্তে যেতে পারেনি। যেকারণে কবে নাগাদ বিদ্যুতের সংযোগ পাবো তার নিশ্চয়তা নেই।
মসজিদের ইমাম মুফতী রবিউল ইসলাম বলেন- সারা দেশেই মডেল মসজিদগুলোর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়নি। তবে অন্য কোথাও এখনও লাইন কাটেনি। আমাদের মসজিদটির কার্যক্রম মার্চ মাস থেকে চালু হয়েছে। তারপর থেকে বিদ্যুৎ বিলও বাকি রয়েছে। হঠাৎ সোমবার সকালে লাইন কেটে দেওয়ার পর বিদ্যুতের সংযোগ ফিরে পেতে অনেক চেষ্টা করেছি। জিএমকেও অনেক অনুরোধ করেছি। কিন্ত কোন কাজ হয়নি।
মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর একাধিক মুসল্লী বলেন- বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ায় চরম ভোগান্তীতে নামাজ আদায় করছি আমরা। এই গরমের মধ্যে একদিকে অন্ধকার আরেকদিকে ফ্যান ছাড়া নামাজ আদায় করতে গিয়ে ঘেমে গোসল করে উঠতে হচ্ছে আমাদের। যেকারণে এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।
ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সালথা সাব জোনাল অফিসের এজিএম মোহাম্মাদ বোরহান উদ্দীন বলেন- গত ৬ মাসে সালথা উপজেলা মডেল মসজিদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। বিল পরিশোধের জন্য গত মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত মসজিদ কর্তৃপক্ষকে ৩টি চিঠি দেয়া হয়েছে। মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথেও কয়েক দফা যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের বিল পরিশোধের ব্যাপারে তারা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই মসজিদের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিল পরিশোধ করা মাত্রই আবার বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে।
২১ জুন ২০২২