• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
রোগ প্রতিরোধে আমলকীর ভূমিকা 

ফাইল ছবি

আমলকী হচ্ছে পুষ্টিগুণ এ সমৃদ্ধ একটি ফল। প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এই আমলকী ব্যবহৃত হয়ে আসছে। টক স্বাদের এই ফল স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এই আমলকীর গুড়া, জুস, তেল, ট্যাবলেট বা মশলা হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

আমলকী তে বিদ্যমান ভিটামিন সি নিয়ে কিছু কথা-
সাধারণ আমরা অনেকেই জানি আমলকী তে রয়েছে ভিটামিন সি। হ্যাঁ আসলেই। এই আমলকী হচ্ছে ভিটামিন সি এর উৎকৃষ্ট উৎস। এক্ষেত্রে জুস করে বা আচার বানিয়ে যেভাবেই  খাওয়া হোক না কেন এর থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। সাধারণত প্রতি ১০০মিলি আমলকীর জুস হতে (৬২৫–৯০০) মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

আবার প্রতি  ১০০ গ্রাম ফ্রেশ আমলকী হতে (৪৮০–৬৮০) মিলিগ্রাম  ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রতি ১ চা-চামচ আমলকি গুঁড়া হতে ৪২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
আসুন জেনে নিই আমলকীর কিছু উপকারিতা সম্পর্কে:
১। আমলকী হচ্ছে ভিটামিন সি এর প্রকৃত উৎস।
২। আমলকী তে রয়েছে ভিটামিন–সি যা একটি ন্যাচারাল এন্টি–অক্সিডেন্ট, যা ফ্রি রেডিকেলস এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে।
৩। সাধারণত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস আমলকির জুস খেলে হজম প্রক্রিয়া, ত্বক পরিষ্কার, চুল মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
৪। এতে ভিটামিন সি ছাড়াও রয়েছে – আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস যা দেহের বিভিন্ন কাজে উপকারী।
৫। নিয়মিত আমলকির জুস খেলে এটি দেহের কোলেস্টেরল লেভেল কে কমিয়ে রাখে।
৬। এটি যকৃতের কাজে এবং দেহ থেকে ক্ষতিকর দূর করতে সহায়তা করে।
৭। আমলকির রস দেহের বিভিন্ন রাসায়নিক কার্যাবলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহাজ্য করে।
৮। আমলকির গুড়া নিয়মিত মুখে লাগালে ত্বকের বিভিন্ন বলিরেখা,ক্লান্তির ছাপ,অযাচিত দাগ,প্রভৃতি দূর করতে সাহাজ্য করে।
৯। আমলকী তে রয়েছে ক্যারোটিন যা চোখের দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত এবং ভালো রাখতে সাহাজ্য করে।
১০। আমাদের চুলের গঠনের ৯৯% হচ্ছে প্রোটিন. এই আমলকিতে রয়েছে এমিনো এসিড—যা চুলের বৃদ্ধি, চুল পরা হ্রাস, চুলকে গোড়া থেকে মজবুত, উজ্জ্বল এবং চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল কে বৃদ্ধি করে। এটি চুলের ক্ষেত্রে টনিক হিসেবে কাজ করে।
রোগ প্রতিরোধে আমলকির ভুমিকা:
এই আমলকী নিঃসন্দেহে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউস। এত প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ এবং ভিটামিন রয়েছে তা শুধুমাত্র আমাদের দেহের উন্নতির জন্যই নয় বরং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও উন্নত করে। কিছু উল্লেখ যোগ্য  যেমন

১। এটি দেহের ইমিউন সিস্টেম তথা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মেটাবলিজম তথা বিপাক কে সমৃদ্ধ করে।  পাশাপাশি বিভিন্ন ভাইরাল ব্যাক্টেরিয়াল উপদান যেমন – ঠান্ডা, জ্বর, কাশি  হতে প্রতিহত করে।
২। আমলকিতে রয়েছে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার পলিফেনল যা  ক্যান্সার কোষ এর বৃদ্ধি প্রতিহত করতে পরিচিত।
৩। সাধারণ সর্দি, কাশির ক্ষেত্রে এটি অনেক উপকারি। ২ চামচ আমলকি গুঁড়ার সাথে ২ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে (৩–৪) বার খেলে ঠান্ডা বা কাশির ক্ষেত্রে উপকারী।
৪। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাঁড়, দাঁত, নখ উন্নত করতে সাহাজ্য করে।
৫। আমলকী তে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন যা বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে।
৬। এতে খনিজ এবং ভিটামিন থাকায় মেয়েদের পিরিয়ড কালীন জটিলতা কমায়।

৭। ক্রোমিয়াম এর উপস্থিতি থাকায় আমলকি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এটি রক্তে শর্করার পরিমান কমায়।
৮। যাদের ইউরিনে সমস্যা, আমলকি নিয়মিত খেলে এর উপকার পাওয়া যায়।
৯। আমল্কিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য কমায় এবং ডায়রিয়া প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
১০। এটি খাদ্যের অরুচি দূর করে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।