বাংলার অতি পরিচিত এক মাছ- কৈ মাছ। সুস্বাদু মাছের তালিকায় কৈ অন্যতম। তবে স্বাদের পাশাপাশি
অনেক গুণেও গুণান্বিত এই মাছ।
আমাদের দেশে প্রধানত, দুই ধরনের কৈ মাছ পাওয়া যায়।
-দেশি কৈ এবং
-ভিয়েতনামী বা থাই কৈ যা চাষের কৈ নামেও পরিচিত
সাধারণত দেশি কৈ আকারে ছোট হয় এবং থাই কৈ আকারে বড় হয়। তবে পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ
উভয়েরই প্রায় সমান। তবে দেশি কৈ এ তুলনামূলক ভাবে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ বেশি।
১০০ গ্রাম কৈ মাছে পাওয়া যায়-
শক্তি ১৩৯ কিলোক্যালরি
প্রোটিন ১৭.৫ গ্রাম
ফ্যাট ৭.৭ গ্রাম
শর্করা ০ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৪১০ মি.গ্রা
ম্যাঙ্গানিজ ৫৩ মি.গ্রা
ফসফরাস ৩৯০ মি.গ্রা
পটাশিয়াম ২১৪ মি.গ্রা
ভিটামিন এ ২১৫ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন ডি ৮৫.৬০ আই ইউ
কৈ মাছের উপকারিতা-
১। কৈ মাছে আছে ১০ টি প্রয়োজনীয় আম্যাইনো এসিড শিশুদের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শিশু
ছাড়াও যেকোন মানুষের দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধিসাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ১০ টি অ্যামাইনো
এসিড।
২। কৈ মাছ ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি এর একটি ভালো উৎস। যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি সাধন করে
এবং হাড় ও দাঁতের গঠনে ভূমিকা রাখে।
৩। কৈ মাছে পাওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি এসিড যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে ভূমিকা রাখে। ত্বককে
রাখে সুস্থ। দেহের বিপাকক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতেও ভূমিকা রাখে এরা।
৪। কৈ মাছে আরো আছে প্রচুর পরিমাণে DHA যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে খুবই প্রয়োজনীয়। এছাড়াও
এটি হৃদরোগ ঝুঁকি কমায় এবং মস্তিষ্ককে সুরক্ষা প্রদান করে অ্যালঝেইমার রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৫। কৈ মাছের ফ্যাটি এসিড সোরিয়াসিস নামক একধরনের ত্বকের রগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৬। কৈ মাছ সহজপাচ্য হওয়ায় সকল বয়সের মানুষ এটি সহজে খেতে পারে। কোন রোগে এটি কোন
সমস্যা সৃষ্টি করে না।
সুস্বাদু এই মাছটি স্বাদে ও পুষ্টিতে ভরপুর। তবে কৈ মাছের কাঁটায় খনিজ লবণ অধিক পরিমাণে থাকে
এবং এর মাথা ও চোখে থাকে DHA। তাই কৈ মাছ খাওয়ার সময় চেষ্টা করবেন এর কাঁটা ও মাথা ফেলে না
দিয়ে খেয়ে ফেলার। এভাবে কৈ মাছ থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি পাওয়া সম্ভব।