• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
সারা বছর দেখা মিলবে ইলিশ

কথায় বলে মাছের রাজা ইলিশ। সেই ইলিশে এখন বাজার সয়লাব। দামও তুলনামূলকভাবে সহনীয়। কিন্তু আর ক’দিন পর তো ইলিশের দেখা মিলবে না। মিললেও হয়তো দাম হবে আকাশছোঁয়া। কারণ আসছে মাসে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইলিশমাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। তবে সারা বছর যেন ইলিশ পাওয়া যায় এর জন্য ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আর এই উদ্যোগটি হচ্ছে, ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা’ নামে একটি প্রকল্প। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বাড়ানো হবে। যার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সারা বছর ইলিশ পাওয়া যাবে। প্রকল্পের আওতায় মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে প্রচলিত আইনটি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে। একই সঙ্গে জেলেদের ১০ হাজার কার্ড বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে। পরিকল্পনা কমিশন বিভাগের অপর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ইলিশ মাছের জন্য যে প্রকল্প মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে তাতে সারা বছর ইলিশ ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে থাকবে। কারণ, এই প্রকল্পের আওতায় ইলিশের জন্য ৬টি অভয়াশ্রম সুরক্ষা দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পদ্মা নদীতে ইলিশ আহরণ বন্ধ করা হবে। ইতোমধ্যে এটি প্রচলন থাকলেও এবার আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ইলিশ মাছ দেশের প্রধান সব নদীতে হলেও বিশেষ কোনো নদীর মোহনা বা উপকূলে ডিম ছেড়ে থাকে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে চারটি প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলো পাহারা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ইলিশের ৬টি অভয়াশ্রম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করা হবে। ইলিশ সংলগ্ন ১৫৪টি ইউনিয়েনের জেলেদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এর জন্য ১ হাজার ২৩২টি সভা আয়োজনের ব্যবস্থা থাকবে। এর পাশাপাশি ৬০টি কর্মশালার আয়োজন করা হবে। অভিযান পরিচালনার জন্য ১৯টি বোট কেনা হবে। মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ১৩ হাজার ৪০০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। জেলে পরিবারদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ১৮ হাজার জেলেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার যে ইলিশ ধরা পড়েছে তার গড় ওজন প্রায় ১ কেজি। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি। গত মাসে তিনটি লঘুচাপের কারণে ইলিশ কম ধরা পড়ে। তবে চলতি মাসে তা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। একজন মৎস্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে ইলিশের গড় ওজন প্রায় ৩০০ গ্রাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ওজন ও আকৃতি বেড়ে যাওয়ায় দেশে ইলিশের মোট উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক যুগে ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। প্রতিবছর ইলিশের উৎপাদন ২০ টন থেকে ৪০ টন বাড়ছে। গত বছর ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৭০ হাজার টন। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, সাড়ে ৬ সেন্টিমিটার আয়তনের ফাঁসের নিচে কোনো জাল দিয়ে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করার ফলে বেশ কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। সুত্রঃ সময়ের আলো।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।