প্রধানমন্ত্রীর ‘কাপড় সেলাই’ ও ‘মাছ ধরা’র ছবি ভাইরাল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিতঃ 4 বছর আগে
301 বার দেখা হয়েছে
০
ছবি সংগৃহিত
পরিশ্রমী ও সৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সাদাসিধে জীবনযাত্রা সবাই জানে। প্রতিটি মুহূর্তের সদ্ব্যবহার করেন তিনি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা যেন আবহমান বাংলার প্রতিচ্ছবি। তিনি রান্না করেন, ভ্যানে চড়েন এসব ছবি দেশ-বিদেশে যেমন সমাদৃত হয়। তেমনি এতে দেশের জনগণও প্রাণশক্তি খুঁজে পায়।
শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটি ছবিতে তাকে সেলাই মেশিন দিয়ে কাপড় সেলাই করতে দেখা যাচ্ছে। আরেকটিতে দেখা যাচ্ছে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ছবি দুটি পোস্ট করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘সাধারণ বাঙালি নারী আমাদের প্রধানমন্ত্রী, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। নানা ব্যস্ততার মাঝে তিনি অবসর পেলেই সেলাই করেন কাপড় আর মাছ ধরতে যান গণভবনের পুকুরে। সব হারিয়ে দেশের জন্য সারাদিন কাজ করে যাওয়া এই অনন্য সাধারণ মানুষটির জন্য অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।’ সন্ধ্যা ৬টার দিকে পোস্ট করার পর দ্রুতই তা ভাইরাল হয়ে যায়। আধাঘণ্টার মধ্যে পোস্টে ১০ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়ে। আর শেয়ার হয় পাঁচ শতাধিকবার।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর রান্না করার ছবিসহ গণভবনে শিশু, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটানো অন্তরঙ্গ ছবি, ক্যামেরা হাতে ছবি তোলার ছবি ও গোপালগঞ্জে ভ্যানে চড়ার ছবিসহ বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রীর মাছ ধরা ও সেলাইরত দুটি ছবি শেয়ার করেন। সালমান এফ রহমান ছবি দুটি শেয়ার করে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তিনি সাফল্যের সঙ্গে ১৭ কোটি বাংলাদেশির ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। কয়েক মিলিয়ন রোহিঙ্গা মুসলমানকে আশ্রয় দিয়েছেন। এখনও প্রধানমন্ত্রী রান্না, মাছ ধরা ও সেলাইয়ে আনন্দ পান।’
চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী সংসদে সকালে উঠে মাছ ধরার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘সকালে উঠে আমি জায়নামাজ খুঁজি। সকালে উঠে আগে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে কোরআন তিলাওয়াত করি। তারপর এক কাপ চা নিজে বানাই। সকালের চা আমি নিজে বানিয়ে খাই। চা-কফি যা-ই বানাই, নিজে বানিয়ে খাই। ছোটবোন বাসায় থাকলে দুজনের যে আগে ওঠে সে বানায়। মেয়ে পুতুল আছে। সেও আগে উঠলে বানায়। আগে ঘুম থেকে ওঠার পর নিজের বিছানাটা গুছিয়ে রাখি। এরপর বই-টই যা পড়ার পড়ি। আর ইদানীং করোনাভাইরাসের পরে সকালে একটু হাঁটতে বের হই। তবে আরেকটা কাজ করি এখন। সেটা বললে কী হবে (হেসে ফেলেন)। গণভবনে একটি লেক রয়েছে। হাঁটার পর লেকের পাড়ে যখন বসি, তখন ছিপ নিয়ে বসি। মাছ ধরি।’ সুত্রঃ সময়ের আলো