সৈয়দ তারেক মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ –
——————————————-
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওলিয়ার রহমানের নাম খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরে চাউলের তালিকায় নাম থাকলেও চাউল পাচ্ছে না,উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একজন মহিলা মেম্বর। গত ২০১৬ সালের ৯ অক্টোর থেকে এই কর্মসূচী সরকার সারাদেশে চালু করেন। সেই থেকে ওই তালিকায় ওলিয়ার রহমানের নাম রয়েছে। ওই তালিকায় তার ক্রমিক নম্বর ৬২৩। নাম থাকলেও চাল পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ওলিয়ার রহমান বলেন, তালিকায় আমার নাম আছে আমি কয়েকবার চাউল আনতে গেলে আমাকে চাউল দেয় না এক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য। আমার কার্ডটি ওই মহিলা সদস্যর কাছে আছে কার্ডটিও দিচ্ছে না। আমি হতদরিদ্র অনেক সময় পরিবার নিয়ে না খেয়েও দিন কাটাতে হয়। করোনা মোকাবেলায় কর্মহীনদের মধ্যে সরকার ত্রাণ দিলেও সে ত্রাণও পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে সহস্রাইল বাজারের ১০ টাকা দরের চাউলের ডিলার সৈয়দ হাবিল আলী বলেন, চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রত্যায়ন আনলে আমি চাউল দিতে পারি। তালিকায় ৬২৩ নম্বরের নামের কার্ডটি এক সংরক্ষিত মহিলা মেম্বরের কাছে আছে। ওই মহিলা মেম্বার কার্ডটি কার্ডধারীকে দেয় না। যার কার্ড তাকে চাউল দেওয়ার নিয়মের কথা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনেকে ৪-৫টি কার্ড নিয়ে আসে চাউল নিতে, বাধ্য হয়ে তাদের কাছেই ওই কার্ডগুলোর চাউল দিতে হয়। আবার কার্ডধারীর ছেলে বা মেয়েকে দিয়ে চাউল নেওয়ার জন্য পাঠায়। যার কারণে যার কার্ড তার ছবি দেখে চাউল দেওয়া সম্ভব হয় না।
শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যা বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি ইউপি সংরক্ষিত সদস্যা নাজমা বেগম ও ডিলার হাবিল আলীকে ডেকে আনলে নাজমা আমার কাছে অস্বীকার করে। তবে ডিলার আমাকে বলেছে ইউপি সদস্যা কার্ড দিয়ে চাল উঠায়। আমি বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এ ব্যাপারে কোন রকমের নমনিয়তা দেখানোর সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন নাজমা গরিব মানুষ হয়ত সে কারনে এমন কাজ করতে পারে I