মেঘলা আকাশ
মেঘলা আকাশ ঝড়ো বাতাস
বাড়ির উঠোন ফাঁকা
ধান কাউন পালা করে
খড় দিয়ে ঢাকা।
গরুর পাল নিয়ে রাখাল
যায়নি আজ মাঠে
কৃষান মেয়ে কাটেনি সাতার
এসে নদীর ঘাটে।
বন বাঁধাড়ে পাখি গুলো
উড়ে গেছে নীড়ে
চিঠি নিয়ে ডাক পিয়ন
আসেনি গাঁয়ে ফিরে।
মেঘলা আকাশ ঝড়ো বাতাস
নৌকা ছাড়েনি মাঝি
দুরের গাঁয়ের হাটে যেতে
বাবা হয়নি রাজি।
মেঘলা আকাশ ঝড়ো বাতাস
পাঠশালা আজ ছুটি
খেলার মাঠে যায়নি কেউ
পাড়ার ছেলেরা জুটি।
বৃষ্টির দিনে
———–
বৃষ্টির দিনে রাখাল নির্জনে
কাচারী ঘরে বসে
মাঘি তামাকে নুচার ঘ্রানে
হুক্কা টানে কষে।
ছেলের দলে লাজ ভুলে
পোশাক খুলে ভিজে
কেউ আনন্দে গড়াগড়ি খায়
কাঁদা জলে নিজে।
গাঁয়ের মেয়েরা বৃষ্টির জলে
কলসি ভরে কাখে
হাস গুলো ভিজে ভিজে
তইতই করে ডাকে।
খেজুর পাতার পাটি বুনে
কেউ সেলায় কাঁথা
বৃষ্টির দিনের পুরনো স্মৃতি
কবিতায় থাক গাঁথা।
ছোট্টবেলার বৃষ্টি
———-
বৃষ্টি এলে এঘর থেকে
ওঘরে গিয়েছি ছুটে
বৃষ্টি ফোঁটা গায়ে মেখে
আনন্দ নিয়েছি লুটে।
শিলা বৃষ্টিতে শিলা গুড়ি
কুড়িয়েছি হাতের মুঠে
কাঁচের গ্লাস ভরে ভরে
নিয়েছি খুটে খুটে।
দাদী এসেছে ক্ষিপ্ত হয়ে
লাঠি হাতের মুঠে
ছোট্ট বেলার সে আনন্দ
এখন কি আর জুটে?
নতুন জামাই
——-
আম জাম ফল খেতে
জামাই এলো গাঁয়ে
সারা পাড়া ঘুরে বেড়ায়
জুতা মোজা পায়ে।
নতুন জামাই শ্বশুর বাড়ি
মিটিমিটি হাসে
সবাই দেখে হাসির মাঝে
খুশখুশ কাশে।
মাঝে মাঝে রুমাল দিয়ে
চোখ মুখ ডাকে
সর্দি তার দিন ভর
ঝরে শুধু নাকে।
এই খবর প্রচার হলো
কারও কারও মুখে
জামাই বেটা চলে গেলো
মনের অতি দুখে।
বললো সবাই রাগ করেনা
করেনা অভিমান
দূর্যোগের এই সময় কালে
সবাই সাবধান।