ট্রায়াল পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করেছে চীন। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বেইজিং শহরের কিছু সরকারি কর্মকর্তা এবং যারা রাষ্ট্রীয় কাজে বিদেশে যাওয়া-আসা করছেন তাদের ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই চীন ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করতে পারে, সেটি জানা যায় মে মাসের শেষ দিকে। ওই সময় সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে সে বিষয়ে চীনের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচী থেকে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে নতুন এই ভাইরাসটি গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর চীনসহ অনেক দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের লড়াইয়ে নামে। চীনে এখন সংক্রমণ কমে যাওয়ায় তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
চীনে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ভ্যাকসিন হিউম্যান ট্রায়ালের পর্যায়ে আছে। এর মধ্যে অন্তত দুটি প্রথম দুই ধাপের ট্রায়ালে ‘সফলতা’ পেয়েছে। ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সাধারণত তিনটি ধাপ থাকে।
চীন জানিয়েছে, তাদের দেশে সংক্রমণ কমে আসায় ব্রাজিলে চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়াল চালানো হবে। এর ভেতর বেইজিংয়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের যেসব কর্মকর্তা বেইজিংয়ে কাজ করছেন প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তাদের ভ্যাকসিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
যে কর্মকর্তারা এই মুহূর্তে বিদেশে আসা-যাওয়া করছেন, প্রথমে শুধুমাত্র তাদের চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ বা সিএনবিজি’র ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছিল। পরে পরিধি বাড়িয়ে বেইজিংয়ের বিভিন্ন জেলার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ট্রায়ালের বাইরে আগেভাগে ভ্যাকসিন প্রয়োগের এই খবরের বিষয়ে মুখ খোলেননি চীনের কর্মকর্তারা। ব্লুমবার্গ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রতিবেদনের ক্রেডিট লাইন থেকে জানা গেছে চীনের তিন সাংবাদিক এই তথ্য জোগাড় করেছেন। তারা সবাই বেইজিংয়ে থাকেন।
মহামারীর সময়ে চীন থেকে ঠিক কতজন কর্মকর্তা বিদেশে আসা-যাওয়া করছেন, সেটি তারা জানাতে পারেননি। একই সঙ্গে বেইজিংয়ের বিভিন্ন জেলার কতজন সরকারি কর্মকর্তাকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে সেটিও ওই তিন সাংবাদিক উদ্ধার করতে পারেননি।
সুত্র :দেশ রুপান্তর