মানিক কুমার দাস,ফরিদপুর
দেখতে ভদ্র স্বভাবের কিন্তু অন্তরালে ওদের হিংস্র থাবা। ওদের টার্গেটে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাওয়া বয়স্করা বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবীরা। সারাজীবনে চাকুরী করে যখন একজন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী ব্যাংক থেকে পেনশিয়ানের টাকা তুলে নেন তখনই ওদের নজর পড়ে যায়। ছুটতে থাকে পিছু, সুযোগ বুঝেই মুহুর্তেই সারা জীবনে জমানো টাকা নিয়ে লাপাত্তায় যায় তারা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করে এমনই একটি চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকের ছিনতাই হয়ে যাওয়া ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২৩ মে) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামাল পাশা। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, কোতয়ালী থানা ওসি এম এ জলিল, এসআই শামীম হাসান উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতারকৃত এই চক্রের দুইজন হলো- সদরের ডোমরাকান্দি এলাকার জাহাঙ্গীর ইসলামের পুত্র জাহিদুল ইসলাম (৪৭) ও কবিরপুর এলাকার মোঃ আফসার উদ্দিন মোল্যার পুত্র মোঃ আবুল হোসেন মোল্যা (৫০)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামাল পাশা জানান, গত ৮ মে মধুখালী উপজেলার মির্জাকান্দি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক হাতেম মোল্যা (৬০) ফরিদপুর পোষ্ট অফিস হতে পেনশনের ১০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি টাকাগুলো ব্যাগে করে বাড়ি উদ্দেশ্যে অটোতে করে রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে গিয়ে লোকাল বাসে উঠেন। এরপরই তিনি দেখতে পান তার ব্যাগের চেইন খোলা এবং টাকাগুলো নেই। তিনি বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে একটি চুরি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায়, সিসি টিভি ফুটেজ যাচাই করে এই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের নিজ বাসা থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আসামীরা আন্তঃজেলা চোর/পকেটমার চক্রের সদস্য। এই চক্রের সাথে আরো একজনের নাম জানা গেছে। তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিনব কায়দায় চুরি করে থাকে। মূলত আসামীরা সরকারী পোষ্ট অফিস, ব্যাংকে বয়স্ক পুরুষ, মহিলাদের টার্গেট করে থাকে।