সাভারে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরীর অভিযোগে দুটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে র্যাবের ভ্রাাম্যমান আদালত।
এসময় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের নামা বাজার এলাকার রুপা এন্টারপ্রাইজ ও জিরাবো এলাকার বেক টাইম কারখানায় এই ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করেন র্যার-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আনিসুর রহমান।
র্যাব-৪ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সাভারের নামাবাজার এলাকায় রুপা এন্টারপ্রাইজের মালিক গৌতম সাহা অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে চিনি ও ফিটকারি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছিলো।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিত্বে সকালে ওই গুড় কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কারখানা মালিক গৌতম সাহাকে নগদ চার লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। একই সাথে কারখানাটি থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল গুড় জব্দ করে পাশবর্তী বংশী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে এ্যালুমিনিয়াম সালফেট ও ক্ষতিকর কাপড়ের রঙ দিয়ে সেমাই, বিস্কুট ও কেকসহ বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করে আসছিলো বেক টাইম কারখানার মালিক আলমগীর হোসেন। এসব খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ পেয়ে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত সকালে কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কারখানা মালিক আলমগীর হোসেনকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। র্যাব কারখানাটি থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল জব্দ করেছে।
র্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আনিসুর রহমান বলেন, এসব কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরীকৃত খাবার খেয়ে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবেই কারখানা দুটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান চলমান থাকবে।