ময়মনসিংহের তারাকান্দার ইউএনও চিত্রা শিকারীর আন্তরিকতায় মুগ্ধ কোভিড-১৯ ফাইটার্সরা।
গত ২১ মার্চ থেকে তারাকান্দা উপজেলা প্রশাসনের নেত্রীত্বে কোভিড-১৯ ফাইটার্স কাজ শুরু করে। কাজের মধ্যে ছিলো জনসচেতনতা তৈরী,মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাবস বিতরণ,লক ডাউনে তারাকান্দা থানাকে সহায়তা,আক্রান্ত এলাকা থেকে কেউ এলাকায় আসলে তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা এবং অসহায়-দরিদ্র পরিবার গুলোর মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের ত্রাণ সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসনকে সকল কাজে সহায়তা করা।
কোভিড -১৯ এর সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক বার্ষিকী বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদে বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব যখন থেকে শুরু ঠিক তখন থেকে এলাকা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। একই ভাবে তারাকান্দা উপজেলাব্যাপি শুরু হয় আতংক। ঠিক তখনি আমরা তারাকান্দা উপজেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন মিলে একটি টীম গঠন করে। সেই টীমে তারাকান্দা উপজেলার প্রায় শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে যোগাযোগ করে কাজ করার জন্য একাগ্রতা প্রকাশ করি। তারাকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া সরকার স্যারের অনুমতিক্রমে একাধারে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান স্যারের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করি এবং তারাকান্দা উপজেলা প্রশাসনে সম্মানিত নির্বাহী কর্মকর্তা চিত্রা শিকারী স্যার’র সাথে দেখা করি। আমাদের ইউএনও মহোদয় অতন্ত আন্তরিকতার সহিত আমাদের কথা শোনেন এবং আমাদেরকে উৎসাহ প্রদান করে লিডিং দেওয়ার সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
তিনি আরোও বলেন, আগামী ২৬ তারিখ ইউএনও মহোদয় পদন্নোতি কারণে তারাকান্দা উপজেলা ত্যাগ করবেন। তারাকান্দাবাসী উনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। উনার সাথে কাজ করা সময়ে কখনো মনে হয়নি উনি সরকারী কর্মকর্তা। আর কিছুদিন পর চলে যাবেন। বারবার মনে হয়েছে উনি যেন তারাকান্দা উপজেলাবাসীর আত্মার আত্মীয়। মহান সৃষ্টিকর্তা উনার সহায় হোন। উনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইল।