শাপলা বিক্রি করে ভালই যাচ্ছিল আকুব্বরের সংসার, খালবিলে পানি কমায় কপালে তার চিন্তার ভাঁজ
বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ষাটোর্ধ্ব বয়সের আকুব্বর শেখ। খাল-বিল হতে শাপলা কুড়িয়ে বিক্রি করে চলে বৃদ্ধ আকুব্বর শেখের ছয় সদস্যের সংসার। করোনার সময় হলেও প্রায় ৪ মাস ভরা বর্ষার সময় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন বিল থেকে শাপলা কুড়িয়ে বাজারে বিক্রি করে আজ অবধি কামাই রোজগার ভালই যাচ্ছে তার।
শনিবার সকালে বাজারে গিয়ে দেখা হয় আকুব্বর শেখের সাথে। এ সময় তিনি আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাটিগ্রাম বাজারে শাপলা বিক্রি করছিলেন। বেচাকেনা ভালই হচ্ছে দেখা যায়। কিন্তু খাল-বিলের পানি কমতে শুরু হওয়ার ফলে শাপলার পরিমানও দিনদিন কমতে শুরু করেছে। এতে আকুব্বরের বাড়ছে হতাশা। কপালে তার চিন্তার ভাজ।
করোনার মধ্যে হলেও কিছু দিন তো ভালই গেল, সামনের দিনগুলো কিভাবে চলবে? আবার ভিন্ন চেষ্টা, নতুন কিছু একটা করে চালাতে হবে সংসার। কিন্তু বয়সের ভারে ভারী কাজও করতে পারেন না তিনি।
আকুব্বর শেখ জানান, খুব ভোরে বিভিন্ন বিল থেকে কয়েক ঘন্টা সময় নিয়ে শাপলা কুড়ান তিনি। পরে অটোভ্যানে করে এগুলো বাজারে এনে বিক্রি করেন। প্রতি আঁটি শাপলা বিক্রি করেন ৫ থেকে ১০ টাকা। এতে দিনশেষে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় হয়। যা দিয়ে মোটামুটি ভালোই চলে সংসার। কিন্তু খাল-বিলের পানি কমতে শুরু করায় আর কয়েকদিন পর আয়ের এ পথটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে।
আকুব্বর শেখের মত নিম্নআয়ের কর্মজীবি অনেকেই এই মৌসুমে বিনা পুঁজিতে শাপলা বিক্রি করে বাড়তি আয় করে মোটামুটিভাবে সংসার চালিয়েছে। কিন্তু এই বর্ষা মৌসুম শেষে তাদের আবার পড়তে হবে এই মহামারী করোনার দৈন্যতায়।