কভিড সংক্রমণ চলাকালীন বা সংক্রমণ থেকে কাটিয়ে ওঠার পর অনেকেরই খাবারে রুচি থাকছে না। ফলে সুস্থতার বদলে খাবার খেতে না পেরে আরো দুর্বল হয়ে পড়ছে লোকজন। এতে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে স্বাস্থ্যের ওপর। এই সময়ে রুচি বাড়াতে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ সোনিয়া আহমেদ
♦ করোনাকালীন অসুস্থতা ও অরুচির কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই এ সময় অনন্ত ৮-১০ গ্লাস পানি ও পানীয়জাতীয় খাবার খান প্রতিদিন।
♦ নিয়মিত খেতে পারেন আদাপানি, লেবুপানি, ডাবের পানি, মাল্টার জুস, বাতাবি লেবুর রস, হালকা লিকারের মসলা চা ইত্যাদি। এগুলো পানিশূন্যতা পূরণের পাশাপাশি স্বাদের বিভিন্নতার জন্য মুখে রুচি ফিরিয়ে আনতে বেশ সহায়তা করে।
♦ সহজপাচ্য খাবার, যেমন—জাউ ভাত, সিদ্ধ ভাত, সাবু দানার তৈরি খাবার এই সময়ে হতে পারে উত্তম কার্বোহাইড্রেটের উৎস। এসব খাবার সহজে খাওয়া যায়, যা রুচি বাড়াতে বেশ সহায়ক।
♦ খেতে পারেন মুরগির মাংস, মুরগির স্যুপ, বিভিন্ন ডাল, বাদাম এবং বিচিজাতীয় খাবার, যা আগের শক্তি ও রুচি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
♦ সয়াবিন বা অনান্য ভোজ্য তেলের বদলে রান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন কিছুদিন। এতে উপস্থিত লরিক এসিড এবং ক্যাপ্রিলিক এসিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভালো প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি খাবারের স্বাদেও নিয়ে আসবে ভিন্নতা।
♦ মুখের স্বাদ ফেরাতে দুধ, দই, পনির, মিল্কশেক হতে পারে দারুণ খাবার।
♦ আদা, পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতার মতো মসলা ব্যবহার খাবারকে সুগন্ধি করতে পারে, যা রুচি আনে।
♦ খাবার যা-ই খান আকর্ষণীয় করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন আগে। দেখতে ভালো লাগলে সেই খাবারে রুচি আসে।
♦ খাবারে বৈচিত্র্য রাখুন। পছন্দের পুষ্টিকর খাবারকে প্রাধান্য দিন। প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খাবেন না।
♦ দিন-রাতে অনন্ত দুই-তিনবার দাঁত ব্রাশ করুন।
♦ কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে বা তেজপাতা সিদ্ধ পানিতে কয়েকবার কুলকুচা করতে পারেন, এতে জিভের স্বাদ ফিরে আসবে।
♦ পরিবারের সবার সঙ্গে বসে খাবার খান। এটা রুচি বাড়াতে টনিকের মতোই কাজ করবে।
♦ খাবারের আগে এবং পরে সঙ্গে সঙ্গে পানি খাবেন না।
♦ দুধ চা, কড়া লিকারের চা, অ্যালকোহলিক বেভারেজ খাওয়া ও ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
♦ প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটুন। দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এটাও হারানো রুচি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।