নিজস্ব প্রতিবেদক
“বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নিমর্ূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’
প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে আজ বৃহষ্পতিবার বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
২০২২ পালন করেছে লাইট হাউস ফরিদপুর। এ উপলক্ষ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কতর্ৃক আয়োজিত মূল র্যালীতে অংশগ্রহণ করে লাইট হাউস। পরে লাইট হাউস ফরিদপুর সেবা কেন্দ্রে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা ব্যবস্থাপক মো. পলাশ খান বলেন, যক্ষ্মা মূলত মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলেসিস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। আমাদের মাঝে এখনো যক্ষ্মা নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যা দূর হওয়া আবশ্যক। আর তাহলো আমরা মনে করি যক্ষ্মা শুধুমাত্র ফুসফুসেই হয় বিষয়টি আসলে তা নয় বরং রোগটি ফুসফুস থেকে শুরু হলেও এটি শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন কিডনি, মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডে প্রভাব ফেলে। শুধু ধুমপানই যক্ষ্মা হবার একমাত্র কারণ নয়। এবং এটি কোন জেনেটিক রোগও নয়। ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে বিজ্ঞানী রবার্ট কোচ যক্ষ্মার ব্যাকটেরিয়া আবিস্কার করেন। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৯৬ লাখ মানুষ সক্রিয় যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয় এর মধ্যে ১৫ লাখ মারা যায়। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর ৩ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন যাদের মধ্যে ৭০ হাজার মানুষ মারা যান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিদিন প্রায় ৪৫০০ জনের মৃত্যু হয়
এই যক্ষ্মায় যেখানে প্রতিদিন বিশ্বে আক্রান্ত হচ্ছেন ৩০ হাজার
মানুষ ।
মো. পলাশ খান আরো বলেন লাইট হাউস আইসিডিডিআর,বির
ব্যবস্থাপনায় ও গ্লোাবাল ফান্ডের সহায়তায় এবং জাতীয়
এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম এর সার্বিক তত্বাবধানে দেশে
এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে কাজ করলেও যক্ষ্মা নিমর্ূল ও
সচেতনতা সৃষ্টিতে সমানতালে কাজ করছে। লাইট হাউসে আগত
সকল লক্ষিত জনগোষ্ঠিদের এইডস পরীক্ষার পাশাপাশি তাদের টিবি স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। এর মধ্যে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের যক্ষ্মা পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংক্রমিত ধরা পড়লে তাদের চিকিৎসা সেবার আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের নিয়মিত ফলোআপ করা হচ্ছে। উপরন্তু সকল লক্ষিত জনগোষ্ঠিদের যক্ষ্মা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে তথ্য ও তথ্যপত্র প্রদান করা হচ্ছে। এভাবে একটি
এইডস ও যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে লাইট হাউস কাজ করে যাচ্ছে যা অব্যাহত থাকবে।