ভেঙ্গে দাও কারাগার/প্রভাত আসিছে ঐ/জীবনের চেতনায় মুজিবের আদর্শ/মরনেও রাখিব যতনে/স্বাধীনতার মর্যাদায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িযে যাক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে………….।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহবানে সাড়া দিয়ে সেদিনের যুবক মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ভারতে যুদ্ধ প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা পূর্ণ হয়েছে। ফরিদপুর শহরের কমলাপুর লালের মোড়স্থ মুন্সী বাড়ীর তিন সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ মনি, মেঝ ভাই সুলতান উদ্দিন আহমেদ বকু ও ছোট ভাই রইচউদ্দিন আহমেদ তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুরের যুদ্ধকালীন কমান্ডার শাহ মোঃ আবু জাফরের অধিনে বোয়ালমারী-ফরিদপুরসহ বিভিন্ন রণাঙ্গনে বীরত্বের সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ মনি ৮৯ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। দুই বার ষ্ট্রোক হয়েছে। ভালোভাবে কথা বলতে পারেন না। অনেক কথা ভুলে যান। মাঝেমধ্যে বাড়ীর সামনে হাটাহাটি করেন। কালো চশমার ফ্রেমে বয়সের ভারে চোখের দৃষ্টিকে মনের তারুণ্যে স্মৃতির মনিকোঠায় মুক্তিযুদ্ধকে মনে করার চেষ্টা করেন। মুজিব বাহিনীর তৎকালীন একজন বীরযোদ্ধা ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে আদর্শিক মননে আজও বুকে ধারণ করেন। জয় বাংলাকে গণমানুষের শক্তির কেন্দ্র বলে মনে করেন।
শরীরে নানা রোগ রয়েছে। বড় ধরনের অপারেশনের প্রয়োজন। কিন্তু চিকিৎসায় তেমন অর্থ ব্যয় করা সম্ভব নয়। তাই সরকারের কাছে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি সহযোগিতা চান। তার আরেক ভাই রইচউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণে উৎসাহিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। আমার ভাই সুলতান উদ্দিন আহমেদ বকু তিনি ঢাকায় অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তাকে সরকার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধিনে একটি ভবন নির্মাণ করে দিয়েছে বীর নিবাস নামে। কিন্তু সেই ভবনটি এখনও পর্যন্ত তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে আমাদের সন্তানরা কোন সহযোগিতা পায়নি। তবুও আমরা আশা ছাড়িনি। আমাদের একটি মেয়ে রয়েছে অনার্স পাস করেছে। সরকার যদি মেয়েটির একটি কর্মসংস্থান করে দিত, তাহলে আমরা সরকারের নিকট কৃতজ্ঞতা পোষণ করতাম।