করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এ বছর হজে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় কেউ চাইলে নিবন্ধনের পুরো টাকাই ফেরত নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো সার্ভিস চার্জ কেটে রাখা হবে না।
কেউ টাকা ফেরত নিতে চাইলে ১২ জুলাইর পর আবেদন করতে হবে। বুধবার দুপুরে হজ নিয়ে অনলাইন সভায় এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসোইন বলেন, এ বছর হজে যাওয়ার পথ বন্ধ হওয়ায় নিবন্ধনকারীরা ইচ্ছে করলে সামনে বছর যেতে পারবেন আর টাকা উত্তোলন করতে চাইলে কোনো ধরনের সার্ভিস চার্জ ছাড়াই টাকা তুলে নিতে পারবেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবছর নতুন করে বিদেশিদের কেউ হজের জন্য সৌদি আরবে যেতে না পারলেও সেখানে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে সীমিত সংখ্যকদের নিয়ে পালিত হবে মুসলিমদের সবচেয়ে ধর্মীয় জমায়েতের এই আনুষ্ঠানিকতা।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বলে বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছে।
এবার বাংলাদেশ থেকে ৬৪ হাজার ৫৯৪ জন হজে যেতে আগ্রহী ছিলেন। সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে তাদের হজে যাওয়া হচ্ছে না।
ধর্ম সচিব মো. নুরুল ইসলাম, হাবের সভাপতিসহ হজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয় সেগুলো হল-
>> চলতি বছরের প্রাক-নিবন্ধন এবং নিবন্ধন যথারীতি ২০২১ (১৪৪২ হিজরি) সালের প্রাক নিবন্ধন এবং নিবন্ধন হিসেবে কার্যকর থাকবে।
>> আগামী বছর ২০২১ সালে কোনো কারণে হজ প্যাকেজের ব্যয় হ্রাস-বৃদ্ধি হলে তা হজযাত্রীর জমাকৃত অর্থের সমন্বয় করা হবে।
>> কোনো হজযাত্রী নিবন্ধন বাতিল করলে একইসাথে তার প্রাক-নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে এবং তাকে নতুন করে প্রাক-নিবন্ধন করে হজে যেতে হবে।
>> কোনো হজযাত্রী টাকা উত্তোলন করতে চাইলে অনলাইনে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করবেন এবং কোনো সার্ভিস চার্জ কর্তন ছাড়াই তাকে তার সমুদয় অর্থ ফেরত দেয়া হবে।
>> বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের টাকা উত্তোলন করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করবেন এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে হজ এজেন্সির মাধ্যমে অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করবেন।
>> সরকারি অথবা বেসরকারি ব্যবস্থাপনার যেসব হজযাত্রী নিবন্ধনের টাকা তুলতে চান তাদেরকে আগামী ১২ জুলাইয়ের আবেদন করতে হবে।
সভায় সদ্য মারা যাওয়া ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। সময়ের আলো