মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর ।। এক তরুনের বিস্ময়কর কাজে এলাকাবাসী শুধু অবাকই হয়নী ব্যাপক প্রশংসা ও র্আশীবাদে সিক্ত হয়েছেন ওই তরুন। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অথবা বড়ভাই আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে অসহায় দুঃস্থ্যদের পাশে দাড়ানো নয় বরং চাকুরী জীবনের প্রথম বেতনের এর পুরো র্অথটা বিলিয়ে দিয়েছেন এলাকার অসহায় দুস্থ্যদের মাঝে । ২৬ বছররে ওই তরুনের নাম রুবেল আহমেদ। ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুরসা গ্রামের কৃষক আবুল কালাম এর পুত্র রুবেল সদ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়াররিং পাস করে ঢাকায় একটি স্বনামধন্য বেসরকারী প্রতিষ্টানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে র্কমরত আছেন।
করোনার প্রভাবে র্কমহীন হয়ে পড়া তার এলাকার হত দরিদ্র পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিজ উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার পৌছে দিয়েছেন সভিলি ইঞ্জিনিয়ার রুবেল আহমদে । গত দুইদিন ধরে তিনি শতাধীক পরিবারের মাঝে চাল,ডাল,সেমাই,চিনি,দুধ ও ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি, থ্রিপিস, লুঙ্গি বিতরন করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি তাদেরকে মাস্ক পড়া, হাত ধোঁয়া, শারীরকি দুরত্ব বজায় রাখা ও সরকারী স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ করছেন।রুবেল জানান,কাজগুলো নিজের দায়ত্বিবোধের জায়গা থেকেই করা।
ইঞ্জিনিয়ার রুবেল বলেন, সমাজের সাধারণ মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার অভ্যাস আমার অনেক দিনের। কিন্তু নিজের পূর্ণ এক মাসের বেতন বোনাসের সমস্তটাই খরচ করে প্রতিবেশী, পরিচিত অপরিচিত একশত টি পরিবারের জন্য খাবার ও নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করে এক অভূতপূর্ব মানসিক শান্তির সন্ধান । নিজের সামর্থ্যের সবটুকু ব্যয় করে কাজগুলো করেছি তাই নিজের পরিবারের জন্য কোন কিছু কেনাকাটা করতে পারিনি। কিন্তু তাতে আমার মোটেও আফসোস নাই। যে পবিত্র প্রশান্তি আমি এই কাজের মাঝে খুজে পেলাম তা কখনোই কোন ঈদ শপিংয়ের মাধ্যমে পাওয়া যায় না। রুবেল বলেন,যদি জীবনের নতুন মানে খুঁজে পেতে চান, যদি নিজেকে প্রাণ ভরে ভালবাসতে চান তাহলে একটা বার আমার মতো “বোকামি” করে দেখতে পারেন। আশা করি নিরাশ হবেন না! মানুষের হাসিমুখের চেয়ে সুন্দর কিছু এই পৃথিবীতে নেই। আসুন সেই সুন্দরের খোঁজে নেমে পরি, আজ, এক্ষুণি! আশা করছি আল্লাহর রহমতে করোনাও দুর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।