নিরঞ্জন মিত্র (নিরু) ( ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে, গ্রাম আদালত কার্যক্রম অগ্রগতি ও পরিচালনা দিক নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২ য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজনে, (২৫ এপ্রিল) সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গ্রাম আদালত সম্পর্কে শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে, সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাোসাঃ তাসলিমা আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিটন আলী, ইউএনডিপি এভিসিবি ২ প্রকল্পের সিনিয়র ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার এনামুল হক খসরু, এলজিএসপি ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর মোঃ আমিরুল ইসলাম, ইউএনডিপি এভিসিবি ২ প্রকল্পের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট উজ্জ্বল কুমার দাস চৌধুরী প্রমূখ।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জেলার বর্তমান গ্রাম আদালতের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য অবশ্যই ইউপি চেয়ারম্যান, সচিবদের মধ্যে সুসমন্বয় গড়ে তোলা এবং যার যার অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। এছাড়াও গ্রাম আদালতের বিচারিক মান সম্মত উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাম আদালতে মিথ্যা মামলা দেওয়া কঠিন, ইউনিয়ন পরিষদের সবাই সবাইকে চেনে। একজন বিচারপ্রার্থী গ্রাম আদালতের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়। গ্রাম আদালতের সংবাদগুলো বেশি বেশি প্রচার করতে পারলে। সাধারণ মানুষ বিরোধ নিষ্পত্তি এবং মামলার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে। এর জন্য গ্রাম আদালতের বেশী করে সক্রিয়তা দরকার।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজে কি কি সমস্যা আছে এগুলো নির্ধারণ করে সমাধানের জন্য চেষ্টা করতে হবে। মানুষের মধ্যে বিশ্বাসের জায়গাটা তৈরি করতে হবে। মানুষ যেন গ্রাম আদালতের উপর আস্থা আনতে পারে। এ ব্যাপারগুলো যখন পত্রিকায় ছাপানো হবে তখন জনগণ জানবে এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমে গ্রাম আদালতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো বলেন, গ্রামে অনেকগুলো বিষয় থাকে যেগুলো আমলযোগ্য অপরাধ নয়, সেগুলো সমাধানের জন্যই গ্রাম আদালত। গ্রাম আদালতে মামলা না করে শহরে এসে মামলা করলে বিচারপ্রার্থী যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি যিনি মামলা করেন তিনিও ক্ষতির শিকার হন। গ্রাম আদালত কোনো রায় দিলে সেটি বাস্তবায়ন করা অতি অবশ্যই।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গ্রাম আদালত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাম আদালত সম্পর্কে ইউপি সচিবদের এগিয়ে নিতে হবে। তবে এটি সেভাবে কার্যকর না বলেই আজকের এই আয়োজন বলে জানান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক।