চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় আগামী ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে আচরনবিধি রক্ষার জন্য বিভিন্ন জায়গা চোষে বেড়াচ্ছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনি পরিবেশ শান্তিপ্রিয় হয়ে ওঠেছে বলে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অনেক চড়াই উৎরাই পরিবেশের মধ্যে থেকেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দিনরাত কঠোর দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বলে স্হানীয়রা জানিয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনের আচরনবিধি রক্ষার জন্য পদ্মা নদীর অপর পারে চরহরিরামপুর ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল জুড়ে বিচরন করে চলেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জিল্লুর রহমান।
তিনি জানান, ” এ নির্বাচনে পোষ্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ব্যাবহার সংক্রান্ত বিধিমালা, দেওয়াল লিখন সংক্রান্ত বাধা নিষেধ, গেইট, তোরণ, ঘের নির্মান, পান্ডেল বা ক্যাম্পে আলোকসজ্জাকরন সংক্রান্ত বাধা নিষেধ, সভা সমিতি ও অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিধি, নির্বাচনি প্রচারনার সময়, কাল, মিছিল ও শোডাউন সংক্রান্ত বিধি, ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচারনা ও মাইক্রোফোন ব্যবহার সংক্রান্ত বাধা নিষেধ, উস্কানিমূলক বিবৃতি ও উচ্ছৃঙ্খল আচরন সংক্রান্ত বাধা নিষেধ, নির্বাচনি ক্যাম্প বা অফিস স্হাপন সংক্রান্ত বিধি, যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বাধা নিষেধ, বিলবোর্ড ব্যবহার সংক্রান্ত বিধি, নির্বাচনকে পেশী শক্তি বা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা, নির্বাচন পূর্ব সময়ে এলাকায় অনুদান বা চাঁদা প্রদান সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্বাচনি বিধিমালা রক্ষার জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, উপজেলা পদ্মা নদীর অপর পারের চরহরিরামপুর ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলেও আরচনবিধি রক্ষা ও নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত্মি প্রিয় রাখতে তাকে কঠোর কাজ করতে হচ্ছে। তবে এ নির্বাচনের আচরণ বিধি রক্ষা ও পরিবেশ শান্ত রাখতে প্রশাসনের পাশাপাশি স্হানীয় সর্বমহলকে সতর্ক থেকে একসাথে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি”।
বৃহস্পতিবার সকালে আসন্ন নির্বাচনে অংশগহনকারী এক চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, ” এ বছর নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের পর মনে হয়েছিল কোন কোন প্রার্থী প্রভাব প্রতিপত্তি ও শক্তি খাটিয়ে জনগণের অধিকার হরণ করতে চাইবে। কিন্ত গত ১৫ দিন ধরে সংশিস্নষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন ও নিরপেক্ষতা দেখে আমরা প্রানের শক্তি ফিরে পেয়েছি এবং অত্যান্ত স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে এখন মনে করছি”। স্হানীয় আরেক মেম্বার প্রার্থী জানান, ” এ নির্বাচনে প্রশাসন এতো নজরদারী দিয়েছে যে, গত ১৫ দিন ধরে রাস্তায় ফিটনেসহীন কোনো মটর সাইকেলই চলতে দিচ্ছে না, তাই আমার মনে হয়, ভোটের দিন প্রশাসন আরও কঠোর হবে”। একইদিন স্হানীয় একজন অবসর প্রধান শিক্ষক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা ফকরুজ্জামান মাষ্টার জানান, উপজেলায় নবাগত ইউএনও এবং এসিল্যান্ড যোগদানের পর নির্বাচনি বিধিনিষেধ যেভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে তাতে আমি মনে করি, ভোট গ্রহনের দিন কেনো প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রশাসন সহ্য করবে না”।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা স্হানীয় সকলের সহায়তা চেয়ে বলেন, “একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য যেভাবে আরচরনবিধি রক্ষা করা হচ্ছে একইভাবে সততা ও স্বচ্ছহতার সাথে ভোট গ্রহন সম্পন্ন করা হবে। কোনো প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রশাসন সহ্য করবে না”।