• ঢাকা
  • শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং

শাপলা মহিলা সংস্থার আয়োজনে ও এডুকো বাংলাদেশের সহায়তায়

দৌলতদিয়া ঘাট যৌনপল্লীতে যৌনকর্মী ও শিশুদের মাঝে শাপলা মহিলা সংস্থার খাদ্য সামগ্রী বিতরন

এডুকো বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় শাপলা মহিলা সংস্থা (এসএমএস) আয়োজনে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে অবস্থানরত ১০০০ যৌনকর্মীর মাঝে খাদ্য সামগ্রী হিসাবে ৫ কেজি চাউল, ৫ কেজি গোল আলু, ২ কেজি ডাউল, ১ কেজি লবন, ১ কেজি ডিটারজেন্ট পাউডার, ১ কেজি তেল, ১ পিস বড় লাইফবয় সাবান ও ১ পিস মাস্ক এবং ২০০ শিশুর মাঝে খাদ্য সামগ্রী হিসাবে ১ কেজি চিনি, ১ কেজি সুজি, ২৫০ গ্রাম গুড়াদুধ ও বড় ২ প্যাকেট লেক্সাস বিস্কুট তুলে দেওয়া হয়।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে শাপলা মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক চঞ্চলা মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ বজলুর রহমান খান, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, শাপলা মহিলা সংস্থার প্রকল্প পরিচালক শ্যামল প্রকাশ অধিকারী, এডুকো বাংলাদেশের প্রজেক্ট অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন, অসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের সভানেত্রী ঝুমুর বেগম।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শাপলা মহিলা সংস্থার মনিটরিং অফিসার রন্জিত কুমার শীল, হোম ম্যানেজার অমল কান্তি ভট্টাচার্য্য, হোম ম্যানেজার মোঃ খোরশেদ আলম, সহকারী ম্যানেজার লক্ষণ বিশ্বাস, আরশী প্রকল্পের সুপারভাইজর ইন্দ্রজিৎ পাল নিত্য, আরশী প্রকল্পের কাউন্সিলর হালিমা খাতুন  সহ আরো অনেকে।

কোভিড – ১৯ মহামারীর এই সময়ে দৌলতদিয়া ঘাট যৌনপল্লীর যৌনকর্মী ও শিশুরা চরম অনিরাপত্তার মধ্যে জীবন যাপন করছে। কোভিড – ১৯ মহামারীর কারনে রাতারাতি যৌনকর্মীদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিকভাবে মারাত্মক সংকটে পড়েছে যৌনকর্মীরা ।

কোভিড – ১৯ মহামারীর পূর্বে যৌনকর্মীরা স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাবন করত।  যৌনকর্মীরা চাহিদা অনুযায়ী খদ্দের সাথে ঘনিষ্ট হতো। দিনে একজন যৌনকর্মী এক থেকে তিন হাজার টাকা আয় করতো। কোন কোন যৌন কর্মী পাঁচ হাজার টাকাও আয় করতো। পূর্বে যৌনকর্মীর তাদের সকল চাহিদা মেটাতে সক্ষম হতো। কোভিড – ১৯ মহামারীর কারণে তাদের এই পেশায় ভাটা পড়েছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে বাড়িওয়ালা নিয়মিত বাড়ি ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। কোভিড – ১৯ নোভেল করোনা ভাইরাসের কারনে আয় রোজগার বন্ধ থাকায় নিয়মিত বাড়িভাড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে যৌনকর্মীরা মানষিক দুচিন্তার মধ্যে বসবাস করছে। বর্তমানে লকডাউন উঠে গেলেও যৌনপল্লীতে আগের অবস্থান ফিরে আসতে পারে নাই। কোভিড – ১৯ নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মানুষজন যৌনকর্মীদের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে পারছে না। এককথায় বলতে গেলে তাদের কোন আয় রোজগার নেই বললেই চলে। এর মধ্যে অনেকে এনজিওদেও কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ঋণগ্রস্থ হয়েছে আবার অনেকে বিভিন্ন দোকান থেকে বাকিতে সদাই করে দেনা হয়েছে। দৌলতদিয়া ঘাট যৌনপল্লীর যৌনকর্মীরা সন্তানদের নিয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে। মহামারীর এই সময়ে যৌনকর্মীদের মধ্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর চাহিদা থাকলেও তারা পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছেন না। কোভিড – ১৯ মহামারীর সময়ে রাজবাড়ি দৌলতদিয়া ঘাট  যৌনপল্লীর যৌনকর্মী ও সন্তানদের উপরোক্ত অবস্থা বিবেচনা করে কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে এডুকো বাংলাদেশে এর আর্থিক সহায়তায় শাপলা মহিলা সংস্থার (এসএমএস) উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ শিশু ও যৌনকর্মীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার সত্বে একজন  যৌনকর্মী বলেন এডুকো বাংলাদেশে ও শাপলা মহিলা সংস্থা (এসএমএস) কাছ থেকে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে তারা অত্যন্ত আনন্দিত ও সন্তÍষ্ট হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

অক্টোবর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« সেপ্টেম্বর    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।