নিজস্ব প্রতিনিধি:-ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে এক রোগীকে খোলা আকাশের নিচে রাস্তায় ফেলে দেয় একজন আয়া। পরে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই রোগীকে উদ্ধার করে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন।
এসময় ওই রোগীর পুরো চিকিৎসার দায়িত্ব নেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান বিপিএম-সেবা।
ওই রোগীর নাম মোশারফ হোসেন। তার বাড়ি ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকোপা এলাকায়। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন জানান, মোশারফ হোসেন ঝিনাইদাহ থেকে ফরিদপুরে দিন মুজুরের কাজে এসেছিল। গত ২৫ দিন আগে ফরিদপুরের মধুখালীতে সড়ক দূর্ঘটনায় তিনি মারাত্মক আহত হন।
এরপর মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে হাসপাতালের এক আয়া ট্রলিতে করে নিয়ে এসে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে ফরিদপুর বরিশাল রোডে ফেলে দিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে এসপি স্যারের নির্দেশে তাকে উদ্ধার করে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসময় ওই রোগীর পুরো দায়িত্ব পুলিশ সুপার (এসপি) স্যার নেন।
এ ব্যাপারে অসুস্থ রোগী মোশারফ হোসেন বলেন, আমি অনেক অনুনয় বিনয় করলেও হাসপাতালের ডাক্তার আমাকে কোনো চিকিৎসা সেবা দেন নাই। আমাকে একটি ট্যাবলেটও দেননি। অসুস্থ অবস্থায় রোদের মধ্যে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেছে। পরে এসপি স্যারের নির্দেশে জেলা পুলিশ আমাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। এছাড়া স্যার (এসপি) আমার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি এসপি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ৯৯৯ ফোন পেয়ে পুলিশ ওই রোগীকে উদ্ধার করে। পরে এসপি স্যারের নির্দেশে রোগীকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এসময় এসপি স্যার ওই রোগীর পুরো দায়িত্ব নেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, পুলিশ সবসময় মানুষের জন্যেই কাজ করেন। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকায় তাদের কাজ। আমরা খবর পেয়ে ওই রোগীকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করি। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ওই রোগীর যাবতীয় চিকিৎসাসহ সব দায়িত্ব জেলা পুলিশের পক্ষে থেকে নেওয়া হয়েছে।