ফরিদপুরের সালথায় মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু নামের এক ইউপি মেম্বারের ইয়াবা সেবনের ভিডিও ফেসবুকে ঝড় তুলেছে। মঞ্জু উপজেলার ১ নং রামকান্তপুর ইউনিয়নের ৯ নং ইউপি সদস্য বলে জানা যায়। সে উপজেলার বড় বাহিরদিয়া গ্রামের বাদশা মোল্যার ছেলে।
একজন জনপ্রতিনিধির ইয়াবা সেবনের ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকায় মাদক সেবনের পাঁশাপাশি মাদক ব্যবসার সাথেও ওই মেম্বারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। তবে ওই মেম্বারের পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এব্যাপারে জানতে ইউপি মেম্বারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
করোনাকালে ‘মানবিক পুলিশের প্রতিচ্ছবি’ নামে বই আসছে ডিবির উপ-পুলিশ কর্মকর্তার ≣ [১]পুরো পাকিস্তান ক্রিকেট দল মোট যত বেতন পায়, সমপরিমাণ টাকা একাই পান কোহলি ≣ যারা জন্মেছিলেন ৫ জুন
স্থানীয় মো. ইমদাদুল মোল্যা নামের এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, মঞ্জু মেম্বারের বাড়িতে ও বাড়ির পাঁশের একটি দোকানে স্থানীয় যুকদের নিয়ে নিয়মিত মাদকের আসর বসে। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
সহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, সে মাদক সেবনের পাঁশাপাশি মাদক ব্যবসা করেন। স্থানীয় যুবকদের মাঝে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে ওই ইউপি মেম্বার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, মেম্বারের মাদকের ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ভয় দেখায়।
রামকান্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলী লিটু বলেন, আমরা যারা দল মত নির্বিশেষে সমাজের নেতৃত্ব দেই তারা যদি এমন হয় তবে তা বড় কষ্টদায়ক। যদি বিষয়টি সত্যি হয় তবে এব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, আমরা এব্যাপারে খোঁজ নিবো ও পর্যবেক্ষণ করবো।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, ওই ইউপি মেম্বারের ব্যাপারে তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।