মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : প্লাস্টিকের তৈরি রকমারি জিনিসে সয়লাব বাজার। তবুও থেমে নেই পাট দিয়ে তৈরি নানান সব আকর্ষণীয় জিনিস। প্রথমে ১৭টি মেশিন দিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও এখন ৫টি মেশিন দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পণ্য। এসব পণ্য দেশ ও বিদেশে রফতানি হচ্ছে।
কথা হচ্ছিল ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের মোঃ সেকোন্দার আলী মৃদ্ধার সঙ্গে। এভাবেই জানাচ্ছিলেন পাট থেকে তৈরি শিল্পে তার জীবনের কথা। কানাইপুরের বিভিন্ন পাটকল থেকে সুতা ক্রয় করে এনে কারখানা থেকে তৈরি হচ্ছে দষ্টিং, বাস্কেট, ফ্লোর ম্যাট, ট্যাপার, চাকা, স্কয়ার ম্যাথ, রাউন্ড ম্যাট, কস্টার, ব্যাগ, রশি, কলমদানি, ঝুড়ি, অভাল মেথসহ বিভিন্ন নামে হাতের তৈরি কুটির শিল্পের কাঁচামাল।
তিনি জানান, ইচ্ছা, প্রচেষ্টা আর মনোবলকেই পুজি করে দীর্ঘ ২৬ বছরের পথচলা। ১৪২ শতাংশ জমির ওপর ছোট্ট একটি ঘরে গড়ে তোলা হয় একটি কুটির শিল্প কারখানা। এখন এটির চারিদিকে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে সরকারি ভাবে গড়ে উঠেছে আশ্রায়ন প্রকল্পের কয়েকটি ঘর।
কাজের বর্ণনা দিতে গিয়ে মোঃ সিকেন্দার আলী মৃদ্ধা জানান, আমার জীবনের সকল সময় ব্যয় করেছি এ শিল্পের তৈরির জিনিস দিয়ে। বিদেশে এসব সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা থাকলেও দেশে এখনো সেভাবে প্রসার লাভ করেনি।
তিনি জানান, যদি সরকারের পৃষ্টপোষকতা পেতাম এবং সরাসরি এসব পণ্য বিদেশে রফতানি করতে পারতাম তাহলে আমি লাভবান হতাম এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারতাম। এছাড়া বাংলার পাটের সুনাম আরো বৃদ্ধি পেতো। তবে আমার উদ্দেশ্য একটাই, এইখান থেকে আয় করে আমি বাঁচবো এবং আমার শ্রমিকদের বাঁচাবো। এর জন্য অল্প লাভেই আমার এ ব্যবসা। এক সময় ১৭টি মেসিন দিয়ে কাজ করলেও এখন মাত্র ৫টি মেসিন ভালো রয়েছে। সেগুলো দিয়েই বর্তমানে ৫জন শ্রমিক ব্রাক ও বিআরডিবির সহযোগীতায় কোন মতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
মিলে কর্মরত শ্রমিক মোঃ লোকমান বলেন, অভাবের সংসারে ছেলে সন্তান নিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর। এখানে কাজ করে দিনে ১৫০/২০০ যা বেতন পাই তা আমার সংসারে বড় এটা সাপোর্ট।
মিলের কাজকর্মের তদারকির দায়িত্বে থাকা পিইপি বিআরডিবির মাঠ সংগঠক মোঃ আবু তারেক বলেন আমরা এখানকার শ্রমিকদের বিভিন্ন সময়ে ট্রেনিংয়ে বগুড়াতে পাঠায়। সল্প সুদে লোন সুবিধা দিয়ে থাকি। পর্যাপ্ত পরিমানে সরকারি বা বেসরকারি যে কোন সহায়তা থাকলে তাদের জন্য আরো সুবিধা হবে। মেসিন এবং শ্রমিকও বৃদ্ধি পাবে।