ফরিদপুরে দুর্ঘটনায় পঙ্গু কামরুল হাসানের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। এক দুর্ঘটনায় কামরুলের দুটি হাত কেটে ফেলতে হয়।
আজ ২৬ জুলাই রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার কামরুলকে তার অফিসে এনে কামরুলের স্ত্রীর হাতে ১০ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেন। গত ৫ এপ্রিল বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি কামরুলকে অর্থনৈতিক সাহায্য করার উদ্যোগ নেন। জেলা প্রশাসক বিভিন্ন মাধ্যেমে খোঁজ খবর নিয়ে আজ তাকে এ চেকটি প্রদান করেন।
এ সময় তিনি কামরুলের প্রতিবন্ধী মেয়েটির যাবতীয় চিকেৎসার ব্যবস্হা জেলা সমাজসেবাকে নির্দেশ দেন। ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা গ্রামের মোঃ কামরুল হাসান (৩৪), পিতাঃ শেখ আইয়ুব আলী, মাতাঃ আমেনা বেগম। তিনি পেশায় ছিলেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী। মাঝে মাঝে ফরিদপুর বিদ্যুৎ অফিসের জন্য দিনমুজুর হিসেবে লাইনের কাজে যেতেন তিনি। একদিন কাজে যাবার পরে ভয়াবহ দূর্ঘটনার শিকার হলে তার দুই হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। মৃর্ত্যুর সাথে যুদ্ধ করে সে বেঁচে আছে। সংসারে তার দুটি সন্তান একটি মেয়ে মোছাঃ জিনিয়াস আক্তার (৮) সে সম্পূর্নই প্রতিবন্ধী, একটি ছেলে মোঃ জিহাদ শেখ (৪)। কামরুলের বাবা কৃষক, তাহার মা গৃহিনী, ছোট ভাই পড়ালেখার জন্য দুরে থাকে ও বৃদ্ধা দাদী রয়েছে তার সংসারে।
দুর্ঘটনার পরে বিদ্যুৎ অফিস থেকে তার চিকিৎসা সেবার ব্যয় ও দোকান করার জন্য কিছু নগদ অর্থ প্রদান করেছে। এ অবস্থায় সে কিছু আর্থিক সহায়তায় বাড়ির সামনে একটি দোকান চালু করেছে। কোন হাত না থাকায় পা দিয়ে কিছু কিছু কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছে। ভেবে দেখেন একটু কি কষ্ট করে কাজ করে যাচ্ছে সে?
বর্তমানে এ দুর্যোগে তার ব্যবসার খুবই খারাপ অবস্থা। সে লোক মারফত তার নিজ নামের ফেসবুক আইডিতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও সমাজের বিত্তবানদের বরাবর।