• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
শিশুদের সর্দি, ঠাণ্ডা, হালকা জ্বরের লক্ষণে করণীয়

ছবি সংগৃহিত

শীতকালে শিশুসন্তান কিংবা তাদের পিতা-মাতা সর্দি, জ্বরের মতো অসুস্থতাকে এতদিন নিশ্চয় গুরুতর কিছু বলে বিবেচনা করেননি। শীতকাল আসতেই অনেকের ঠাণ্ডা লাগে, সর্দি-জ্বর হয় এবং তা দ্রুত সেরেও যায়। কাশি ও কফও এ ঋতুর সাধারণ অসুস্থতা। তবে যা-ই হোক সেগুলো নিয়ে সাধারণভাবে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ছিল না। তবে এটা কভিড-১৯ মহামারীর আগেকার কথা। পরিস্থিতি এখন একেবারেই ভিন্ন।

এবারের শীতে কাশি, হালকা জ্বর, সর্দি গুরুতর পরিস্থিতির লক্ষণ হতে পারে। পিতা-মাতা আতঙ্কিত হবেন, কারণ তাদের জানা নেই লক্ষণগুলো সাধারণ ঠাণ্ডা, ফ্লু নাকি কভিড-১৯। এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে কি শিশুদের কভিড পরীক্ষা করাতে হবে? করতে হলে কখন? আর যদি শিশুদের পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে তাহলে পিতা-মাতা ও সন্তানদের কতদিন আইসোলেশনে থাকতে হবে?

কভিড-১৯ ও সাধারণ জ্বর-ঠাণ্ডার লক্ষণগুলোর মধ্যে পার্থক্য করা সহজ নয়। শিশুদের কভিডের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। এছাড়া অন্যান্য সাধারণ লক্ষণ তো থাকেই। লক্ষণ থাকলেই শিশুটি কভিডে আক্রান্ত নাও হতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এ রকম অসুস্থতার ক্ষেত্রে শিশুদের অবশ্যই বাসায় আইসোলেশনে রাখতে হবে। আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকসের সংক্রামক রোগবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ইভোনে ম্যালডোনাডো এমনটাই মনে করেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুহার বেশ কম। তার পরও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণটা পরোক্ষ। শিশুরা আক্রান্ত হলে তারা ঘরের বয়স্কদের আক্রান্ত করতে পারে এবং সেটাই উদ্বেগের। কোনো আক্রান্ত শিশুর ঘরে যদি তার বৃদ্ধ দাদা-দাদি থাকে তাহলে সেটা তাদের জন্য ভয়ানক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। তাই শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত যেকোনো লক্ষণ নিয়ে সতর্ক হতে হবে।

ড্রেক্সেল ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিসিনের অধ্যাপক ও শিশুদের সংক্রামক রোগবিষয়ক গবেষক মার্গারেট ফিশার মনে করেন শিশু কোন পরিবেশে ও সম্প্রদায়ের মাঝে বাস করছে সেটি বিবেচনায় নিতে হবে। যদি এমন হয় যে শিশুটি করোনা সংক্রমিত কারো সংস্পর্শে আসেনি এবং আশপাশের এলাকা প্রায় করোনামুক্ত তাহলে সাধারণ ঠাণ্ডায় তাদের কভিড পরীক্ষা না করালেও হবে। কিন্তু যদি এমন হয় শিশুর বসবাসের এলাকায় প্রতিদিন নতুন নতুন সংক্রমণের কেস পাওয়া যাচ্ছে তাহলে ঠাণ্ডা বা অ্যালার্জিজনিত লক্ষণ থাকলে শিশুটিকে কভিডের পরীক্ষা করাতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা জোর দিচ্ছেন মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়ার মতো বিষয়ে। তারা মনে করেন দুই বছরের বেশি বয়সী যেকোনো শিশুরই মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন। মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুরা যেমন নিরাপদ থাকবে, তেমনি তাদের পরিবারের বয়স্ক সদস্যরাও ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবেন।

স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।