বাগমারা প্রতিনিধি:রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় রাতের আধারে চলছে পুকুর খননের হিড়িক। আউচপাড়া ইউনিয়নের হাটগাঙ্গোপাড়া সিনেমা হলের উত্তর পাশে ও গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের মাডিয়া মোড়ে আদালতের আর্দেশ অমান্য করে রাতের অন্ধকারে চলছে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের হিড়িক। করোনা ভাইরাসের কারণে যখন মানুষ ঘর বন্দি ঠিক সেই সময় তারা সুযোগ টি কাজে লাগিয়ে প্রায় ১০০ বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর খননে ব্যস্ত হয়ে
পড়ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।প্রশাসন যখন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষ সচেতন করতে ব্যস্ত ঠিক সেই ফাঁকে সুকৌশলে পুকুর খনন চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা।অনুসন্ধানে জানা যায় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্থানীয় কিছু নেতাদের ও কিছু অসাধু প্রশাসনের ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে উপজেলার ৫নং আউচপাড়া ইউনিয়নের আউয়ুব আলী নামে এক ব্যক্তি ও গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের এক ব্যক্তি মিলে মাড়িয়া মোড়ে রাতের অন্ধকারে অবৈধ ভাবে চলছে পুকুর খননের হিড়িক। অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা হাইকোর্টের আর্দেশ অমান্য করে তিন ফসলী কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছে রাতের অন্ধকারে।স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ না চাইলে কিভাবে চলছে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর কাছে পুকুর খননের কার্যক্রম পুকুর খননের কারণে এলাকার কৃষকদের ফসলী জমি নষ্ট করে পুকুর খনন চালিয়ে যাচ্ছে ৭নং গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নে মাড়িয়া মোড়ে বানইল গ্রামে হাতরুম গ্রামে। এলাকার প্রভাবশালীরা পুকুর খননের জন্য ভেকু মেশিনের মাধ্যমে মাটি কাটা অব্যাহিত রেখেছেন।রাতের ১০ টার সময় শুরু করেন পুকুর খননের কাজ শেষ করেন ভোর ৪ টার সময় এইভাবে চলছে বাগমারাউপজেলার বিভিন্ন জায়গার পুকুর খননের কাজ। এবিষয়ে হাট গাঙ্গোপাড়া পুকুুুর খননের মালিক আয়ুব আলী জানান, আমার পুকুর খননের কোন অনুমতি নাই আমাকে মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন। এলাকার দুই প্রভাবশালী পুকুর খননের অনুমতি দিয়েছে কে তা তারা বলতে পারেননি এবং অনুমতির কোন বৈধ কাগজ পত্রও দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে বাগমারা থানার ইনচার্জ আতাউর রহমানের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।সম্প্রতী রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। সেখানে লিখা আছে, অবৈধ পুকুর খনন ও বালু উত্তোলনে কেউ এক্নেভেটের/ ভেকু মেশিন ভাড়া দিবেন না। ঘটনা স্থলে এ গুলো পাওয়া গেলে তা অচল করে দেয়া হবে। সেই সাথে সাথে জেল জরিমানা করার কথাও রয়েছে।