চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :-
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নে ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা পারের বসতি এলাকায় হঠাৎ আগন্তক মানষিক ভারসাম্যহীন এক অজ্ঞাত পাগলী (২৫) এর নবজাতক ছেলে আহাম্মদ ইসলাম জন্ম নেওয়ার এগার দিন পর গত মঙ্গলবার সন্ধায় শিশুটির অভিভাবক নির্ধারন করে স্হানীয় নিঃসন্তান দম্পত্তির কাছে দত্ত্বক হিসেবে হস্তান্তর করেছেন ইউএনও তানজিলা কবির ত্রপা। শিশুটি জন্ম নেওয়ার পর থেকে উক্ত গ্রামের বসতি সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য আছিয়া খাতুনের হেফাজতে থাকার পর নিঃসন্তান দম্পত্তির কাছে হস্তান্তর করা হয়। নবজাতকের বর্তমান অভিভাবক দম্পত্তি হলো-একই গ্রামের আঃ ওয়াহেদ মুন্সির ছেলে রফিক মুন্সি (৩৭) ও তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার রীপা (২৫)। শিশুটি হস্তান্তরের সময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হক টিটু, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জাহিদ তালুকদার, উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান প্রমূখ।
এর আগে শিশুটিকে দত্ত্বক চেয়ে স্হানীয় অনেকেই ইউএনও কার্যালয়ে আবেদন করেন। কিন্ত গত ১৮ জানুয়ারী উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ডের যাচাই বাছাই সভায় ওই নিঃসন্ত্মান দম্পত্তিতেকেই নবজাতকের অভিভাবক নির্ধারন করা হয়। পরে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে চুক্তিপত্র সম্পন্ন করে নিঃসন্ত্মান দম্পত্তির কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়।
স্হানীয় সূত্র জানায়, প্রায় দেড় মাস আগে উক্ত গ্রামের পদ্মা পারে অজ্ঞাত এক অন্তঃস্বত্তা পাগলীর আগমন ঘটে। টালমাতাল কথাবার্তা বলার কারনে আজও তার পরিচয় জানা যায় নাই। গত ১৪ জানুয়ারী ওই গ্রামের শহীদ খানের বাড়ীর একটি পরিত্যাক্ত ঘরে পাগলীর নবজাতক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান প্রসবের পর পাগলী মা শিশুটিকে ফেলে দিক বেদিক ছুটাচুটি করে চলেছে। এ খরব শুনে ইউএনও সরেজমিনে দুর্গম পদ্মা পারে গিয়ে প্রসূতি পাগলী মা ও নবজাতকের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহন করেন। তিনি শিশুটিকে বস্ত্র প্রদান করেন। এছাড়া শিশুখাদ্য গুড়োদুধের ব্যবস্হা সুচিকিৎসার জন্য দফায় দফায় স্বাস্হ্য কর্মী দিয়ে পরিচর্চা, প্রয়োজনীয় ঔধষ সরবরাহ এবং প্রসূতী পাগলী মায়ের সুরক্ষার জন্য একটি ভাঙাচুরা দোচালা টিনের ঘর প্রায় ১৫ হাজার টাকা ব্যায়ে মেরামত করেন। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, ” সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’। আমি আমার নৈতিক দায়িত্বরোধ থেকে ওই মানষিক ভারসাম্যহীন অসহায় নারী ও তার নবজাতকের পাশে দায়িয়েছি”।