মোঃ রমজান সিকদার, ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি-২৭/০৪/২০২৩

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রামে আদালতের নির্দেশনা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মানসিক প্রতিবন্ধি চাচার জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে। মানসিক প্রতিবন্ধি চাচা হারুনার রসিদের রাস্তার পাশে একটি জায়গার উপর কয়েকদিন ধরেই ভাতিজা আছাদুজ্জামান পাকা দেওয়াল নিমার্ন কাজ শুরু করে। এতে চাচা স্থানীয় লোকজন দিয়ে ও থানা পুলিশের সহায়তায় কাজটি বন্ধ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে গত বুধবার আদালতের স্মরনাপন্ন হয়ে চাচা ভাতিজার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত তাৎক্ষনাত উক্ত জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারি করে। ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঐদিনেই জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারি করে। ভাতিজা আছাদুজ্জামান বুধবার রাতেই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে নিমার্ন কাজ চলমান রাখে। এতে করে এলাকায় উভয় পক্ষের মাঝেই উত্তেজনা সৃষ্টির হয়।
ভাঙ্গা থানার সহকারি উপ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানায়, আদালতের নির্দেশে উক্ত জায়গার উপর আমরা ১৪৪ ধারা জারি করি। আমাদের কাছে চাচা হারুনার রসিদ রাতেই অভিযোগ করেছিল যে, উক্ত জায়গার উপর কাজ চলমান রয়েছে। হারুনার রসিদ আজ বৃহস্পতিবার উক্ত জায়গার উপর ১৮৮ ধারার আরো একটি আদেশ নিয়ে এসেছে। আমরা বিকেলে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে আদালতের নির্দেশ পালন করব। এলাকার পরিবেশ পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি উভয়ের বিবাদমান সমস্যার সমাধান করতে।
বিষয়টি নিয়ে চাচা হারুনার রসিদের স্ত্রী পারুলী আক্তার বলেন, আমার স্বামী একজন মানসিক প্রতিবন্ধি রুগি। আমার সন্তান সাগরের এক টুকরো জমি আমারই দেবরের সন্তান আছাদুজ্জামান দখল করে নিয়ে যাচ্ছে। আমি দিন মজুরি করে কোন রকম সংসার চালাই। স্বামী সন্তান নিয়ে কোন রকম বেচে আছি। আমি প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি আমার পরিবারের দিকে তাকিয়ে একটি সুষ্ঠ সমাধান যেন করে দেয়। আমার টাকা পয়সাও নেই যে আইনের আশ্রয় নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে পেরে উঠব।
১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা ভাতিজা আছাদুজ্জামান বলেন, জায়গাটি আমাদের দাদী আমাদের পিতা ও ফুফুদের মাঝে বন্টন করে দিয়ে গেছে। আমরা ফুফুদের অংশ কিনে নিলে যত বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও বিষয়টি যখন আদালতে গড়িয়েছে আইনই আমাদের সমাধান দিবে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কিছু সিমেন্ট থেকে যাওয়ায় আমার মিস্ত্রি কিছুটা কাজ করেছে।