মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর:
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক নারী (২০) পরকীয়া সম্পর্কের জেরে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর ইমন শেখ (১৫) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভোরে উপজেলার পরমেশ্বদী এলাকা থেকে ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ইমন শেখ ওই গ্রামের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে স্বামীর নামে ১৪ মাস আগে একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করে ওই নারী। এরপর স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে এসে বসবাস করেন সে। পরে বাবার বাড়িতে আসার পর প্রতিবেশী চাচাত ভাই ইমনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। অতঃপর ওই নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের পর মেলামেশায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই নারী। এলাকায় এ ঘটনা জানাজানি হলে ও পরিবার কাছে ওই নারী বিষয়টি জানালে ওই নারীর মা বাদি হয়ে ২৬ জুন রাতে ইমন শেখকে আসামি করে স্থানীয় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর- ৪০।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ইমনের পরিবারের দাবি, ‘ইমন ছোট মানুষ। সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। ওই মেয়ে অন্য কোন জায়গা থেকে এ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে থাকতে পারেন।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, ‘চলতি বছরের গত ২৩ জানুয়ারী দুপুরের দিকে পরমেশ্বদী গ্রামের ইমন শেখ প্রতিবেশী ওই নারীর ঘরে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে ওই মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। সে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি তার পরিবারের নিকট খুলে বললে তার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী ১৪ মাস আগে তার স্বামীর নামে একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। অতঃপর সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় ইমনকে আসামি করে ওই নারীর মা থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ইমনকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।