দরিদ্র শিক্ষার্থীকে কোরআন শরীফ ও স্কুল ড্রেস দিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক
আলমগীর জয়
প্রকাশিতঃ 4 বছর আগে
302 বার দেখা হয়েছে
০
ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের প্রকাশ্যে গণশুনানীতে নিজের স্কুল ড্রেস, ভর্তির টাকা না থাকা আর বঙ্গানুবাদসহ একটি কোরআন শরীফের আবদার করেছিল জেলার সদর উপজেলার দরিদ্র পরিবারের এক শিক্ষার্থী।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার মনোযোগ দিয়ে তার অভাবের কথা শুনে তাকে তাৎক্ষনিক বিদ্যালয়ের বিনামূল্যে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন।
স্কুল ড্রেসের কাপড় কিনে ওই দিনই টেইলার্সে তা বানাতে দেয়া হয়।
আজ রবিবার,২৭ ডিসেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ বিকেলে কোরআন শরীফ ও নতুন স্কুল ড্রেস প্রদান করা হয়। সঙ্গত কারনে শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ পরিচয় উহ্য রাখা হলো।
জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকার একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। দীর্ঘদিন যাবত তার পিতা অসুস্থ। পরিবারের আরো এক বোন ও ভাই আছে। বোন স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দশ শ্রেণিতে পাড়ালেখা করে; ভাই শহরের একটি কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ালেখা করে।
প্রায় উপার্জনহীন সংসারের তাদের মা কোন রকমে সংসার টিকিয়ে রাখলেও পড়ালেখা চালাতে কষ্ট হচ্ছিল। করোনার কারনে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও নতুন শ্রেণিতে ভর্তি শুরু হওয়ায় অর্থাভাবে পড়ে পরিবারটি। এ সময় লোকমুখে জেলা প্রশাসকের বদন্যতার কথা শুনে বুধবার হাজির হয় তার প্রকাশ্যে গণশুনানীতে।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার তার কথা শুনে তাকে সর্বাত্নক সহায়তার আশ্বাস দেন। তাৎক্ষনিক বিনামূল্যে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। আজ তাকে বঙ্গানুবাদসহ কোরআন শরীফ ও নতুন স্কুল ড্রেস প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য গত এক বছরে গণশুনানীতে প্রায় ৫ হাজার জন সেবা প্রত্যাশী জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মূলতঃ জমির একসনা বন্দোবস্ত প্রাপ্তি, আইনগত সহায়তা, আর্থিক সাহায্য, টিআর, জিআর. সরকারি ডেউটিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রাপ্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তি, বিধবা ভাতা প্রাপ্তি, বাল্য বিবাহ রোধ, জমিজমা বিরোধ সংক্রান্ত, ঘর মেরামত, পড়ালেখার খরচ চালানো, শীতের পোষাক প্রাপ্তি, ধর্মীয় কার্যাদিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জেলার নাগরিকগন জেলা প্রশাসকেককে জানান।
জেলা প্রশাসক সেসব সমস্যা সমাধান করে থাকেন। সাধারণত প্রতিদিনই জেলা প্রশাসক জনসাধারণের কথা শুনে থাকেন। তবে বিশেষভাবে প্রতি বুধবার দীর্ঘ সময় নিয়ে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।