রাজশাহীর বাঘা উপজেলাতে করোনা ও বন্যার মাঝেও রুপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশ এর মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারী উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হচ্ছে।
উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্তরের শিওর ক্যাশ এজেন্ট এর তথ্য মতে জানান, বিগত বছর গুলোর ধারাবাহিকতায় এইবারও ২০১৯-২০ অর্থবছরের তৃতীয় কিস্তির এর উপবৃত্তি কার্যক্রম চলছে রুপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশ এর মাধ্যমে! শিওর ক্যাশের মাধ্যমে রাজশাহী জেলার ৯ টি উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার মোট ৯১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লক্ষ ৫৭হাজার ৮শত ৯৩ জন মায়ের শিওর ক্যাশ ওয়ালেটে পৌঁছে গেছে প্রায় ৭কোটি ১১লক্ষ৯০ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ১ কোটি ৪0 লক্ষ সুবিধাভোগী মা এই সহায়তা পেয়ে থাকে।
এই দুর্যোগ মুহুর্তে সুবিধাভোগী মায়েরা কোন রকম ঝামেলা ও অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া তাদের নিকটস্থ শিওর ক্যাশ এজেন্ট এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারছে।
এ ব্যাপারে কথা হয় বাঘা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের-সুবিধাভোগী মা রাজিয়া বেগম বলেন, আমি আমার মেয়ের ৪৫০ টাকা কোনরকম ঝামেলা ও অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই তুলতে পেরেছি আরিফ ভাই এর শিওর ক্যাশের মাধ্যমে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঘা পৌরসভার শিওর ক্যাশ এর পরিবেশক আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আমরা এজেন্টদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা করে যাচ্ছি যাতে সুবিধাভোগী মায়েরা যেন টাকা উঠাতে কোন রকম ঝামেলায় না পরে।
এ ব্যাপারে আরো কথা হয় শিওর ক্যাশের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান হাসিব আহসান এর সাথে তিনি বলেন আমরা প্রতিনিয়ত প্রধান বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তা জনাব ফারুক হোসেনের দিকনির্দেশনা ও সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রতিনিয়ত মায়েদের কথা চিন্তা করে নিরলসভাবে বিক্রয়কর্মী, পরিবেশক ,টেরিটরি ম্যানেজার ও এরিয়া ম্যানেজারদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এজেন্টের নিরবিচ্ছিন্ন সার্ভিস নিশ্চিত করে যাচ্ছি যার কারণে মায়েরা কোন রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সুন্দর ভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে পারছে।