দেশ রুপান্তর এর খবর
দেশে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পরীক্ষা অনুপাতে করোনায় শনাক্তের হার গড়ে ২০-২২ শতাংশের মধ্যেই ওঠানামা করছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় এক দিনে সর্বোচ্চ সাড়ে ১৮ হাজার পরীক্ষার দিনেও শনাক্তের হার ছিল প্রায় ২১ শতাংশ। ধীরে ধীরে কমছে সংক্রমণ সক্ষমতা হার। শুরুর দিকে একজনের থেকে দুজনে রোগটি ছড়াত, এখন সে মাত্রা নেমে এসেছে এক দশমিক শূন্য পাঁচে।
এমনকি সর্বোচ্চ সংক্রমণ স্থান ঢাকা শহর ও ঢাকা বিভাগের সংক্রমণ কমেছে। এপ্রিলে যেখানে ঢাকা শহরে সংক্রমণের হার ছিল মোট সংক্রমণের ৮৬ শতাংশ, সেটা ৪৯ শতাংশে নেমে এসেছে। মৃত্যুহার যেখানে ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ, সেটা এখন ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। একইভাবে কমেছে ঢাকা বিভাগের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন অবস্থা ধরে রাখতে পারলে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। বিশেষ করে জুলাইয়ের শেষের দিকে করোনা সহনীয় মাত্রায় চলে আসবে।
এ ব্যাপারে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম আলমগীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, লকডাউনসহ ভাইরাসের বিস্তার রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ যথাযথভাবে অনুসরণ করা গেলে জুলাই মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সহনীয় মাত্রায় চলে আসবে এবং তারপর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।
এমন পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে আগামী মাসে অর্থাৎ জুলাইয়ে করোনা মোকাবিলায় নতুন করে বেশকিছু উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। বিশেষ করে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি লকডাউনের মাধ্যমে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে যাবে প্রশাসন।
বেশি করে কিট আনবে জুলাইয়ে। সেজন্য নতুন ক্রয় পদ্ধতি করা হচ্ছে। বিকল্প পরীক্ষার ব্যবস্থা আসছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছে, সংক্রমণ একটা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে। এখন সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়ে এটাকে নামাতে হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জুলাই থেকে ৩০ হাজার নমুনা পরীক্ষার টার্গেট নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখনো সব জেলায় পিসিআর পরীক্ষার ল্যাব বসানো সম্ভব হয়নি। অতি দ্রুত সেটা কার্যকর করার পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট পদ্ধতি শুরু করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্তও হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেন, সারা দেশে বর্তমানে ৬৬টি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ল্যাব আরও বাড়ানো হবে। বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে অনেক ধরনের ডিভাইস আবিষ্কার করা হয়েছে, যেগুলো মুহূর্তেই ফলাফল দেয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির অনুমোদনক্রমে আমরা সেসব ডিভাইসের কোনো একটি নিয়ে আসব। এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, গোপনে অনেকে সংক্রমিত হচ্ছেন এবং ভালোও হয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ গত তিন মাসে অনেকের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এখন অ্যান্টিবডি টেস্ট করা গেলে অন্ততপক্ষে একটি ধারণা পাওয়া যাবে দেশে কতসংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হয়েছে, যা রোগ-প্রতিরোধ ও কর্মকৌশল নির্ধারণে অনেক সহায়ক হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জুলাইয়ের বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা জানান। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমরা জেলাপর্যায়ে পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠান করব। যেসব জেলায় নেই, সেখান মেশিন বসিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করব। নতুন ধরনের পরীক্ষা চালু করার চেষ্টা চলছে। অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করা যায় কি না, সেটা দেখব। শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশের রেড জোন করা হচ্ছে। ঢাকারটা করা শেষ। এখন যখন যেখানে দরকার, তখন লকডাউন দেওয়া হবে।
কিটের ব্যাপারে মহাপরিচালক বলেন, এখন কিট আনতে হচ্ছে অল্প করে। সরকারের ক্রয়পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। এখন পর্যন্ত সরকারের সিএমএসডির (সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো) মাধ্যমে কিনতে হয়। তারা অল্প করে কিনতে পারছে। সরকারের বিশেষ অনুমোদন প্রক্রিয়া চলছে। কীভাবে সর্বোচ্চসংখ্যক একবারে কেনা যায়, সেটা ঠিক করা হচ্ছে। সেটা হলে একসঙ্গে অনেক কিনতে পারব।
সে ক্ষেত্রে চীনের সানসিউর কোম্পানি থেকেই কিট কেনা হবে বলে জানান মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ল্যাবরেটরিগুলো এ কিটে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এখানে চীনের কোম্পানি বড় জিনিস নয়। গুরুত্বপূর্ণ একটা বিশেষ পদ্ধতি। মাল্টিপ্লাস সিঙ্গেল টিউব মেথড। এ মেথডে অল্প সময় লাগে পরীক্ষা করতে। পরে যদি ল্যাবরেটরির চাপ কমে যায়, নতুন পদ্ধতি চালু হয়, তখন হয়তো আমরা অন্য কোম্পানিরটাও ভাবতে পারি। কিন্তু এই মুহূর্তে বদলানো সম্ভব নয়।
অন্য ধরনের পরীক্ষা যদি চালু হয় সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, দেশজুড়ে ল্যাব সম্প্রসারণ করা হবে। সব মিলে অনেক পরীক্ষা হবে। চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি বলেন, নতুন নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসক ও নার্সরা বিভিন্ন কভিড হাসপাতালে পদায়ন পেয়েছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসাব্যবস্থা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আশা করছি জুলাইয়ে চিকিৎসাসেবাও বাড়বে।
করোনার সংক্রমণ বাড়া বা কমার জন্য জুলাই চ্যালেঞ্জিং মাস বলে মনে করেন করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষাসহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা আরেকটু মানা হলে জুলাই থেকে করোনার প্রকোপ কমবে বলে আমার ধারণা। তবে সামনে যে ঈদ, মানুষ বাড়ি যাবে আসবে; তাতে একদফা সংক্রমণ বাড়ে কি না সেটা নিয়ে ভাবছি। রোজার ঈদে সংক্রমণ বাড়ার যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেটা বাড়েনি। ২৬ মে বা তার আগে-পরে দুই-তিন দিন ধরে সংক্রমণের সময় ১৪ দিন হিসাব করলে হয় ১০ জুন। এ সময় কিন্তু সংক্রমণ বাড়েনি। হার ২০-২১ শতাংশের মধ্যেই আছে। এবার ঈদেও যদি না হয়, তাহলে এখন যা আছে সেখান থেকে ধীরে ধীরে কমবে। আর বাড়বে না।
কমার কারণ হিসাবে এ বিশেষজ্ঞ বলেন, আমরা গত ২৫ মে থেকে আজ পর্যন্ত বাড়তে দেখিনি। বলা চলে একটা জায়গায় স্থির হয়ে রয়েছে। এক মাস কিন্তু কম সময় নয়। এখন যদি আমরা আমাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার দিকে নজর দিই, তাহলে কমতে শুরু করবে। বিশেষ করে আসন্ন কোরবানি ঈদে যদি সুরক্ষা মেনে চলতে পারি, তাহলে কমে যাবে, এটা আমার ধারণা।
তিনি সুরক্ষা মেনে পশুর হাট দেওয়ার পক্ষে মত দেন। বলেন, পশুর হাট দিতেই হবে। হাট যদি না দেওয়া হয়, তাহলে হাজার হাজার খামারি তারা তো পথে বসবে। বিশৃঙ্খলভাবে মানুষ বিভিন্ন জায়গায় হাট বসাবে। সরকার বরং একটা উদ্যোগ নিয়ে সুন্দর করে অনেক লম্বা বাঁশের বেষ্টনী দিয়ে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিয়ে হাটের ব্যবস্থা করতে পারে। এটা সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করবে। এটা করলে হাটও বসল, আবার সংক্রমণও বেশি হলো না।
অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আগের চেয়ে পরীক্ষার ব্যাপারে উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮ হাজারের ওপরে পরীক্ষা হয়েছে। তার মানে পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ চেষ্টা করছে। এখন দেখা যাক কতটুকু পারে।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমরা গত ঈদের আগে পর্যন্ত কিছু ভুল করেছি। সব ঝুঁকি ঈদের পর ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ জুন পর্যন্ত ছিল। বিভিন্ন কারণে ঝুঁকি তৈরি করেছি। ঝুঁকি তৈরির সঙ্গে যদি ইনকিউবিশন পিরিয়ড (সংক্রমণ ছড়ানোর সময়) ১৪ দিন হিসাব করি, তাহলে ১৫ জুন পর্যন্ত আমরা এমনিতেই ঝুঁকিতে ছিলাম। এর মধ্যে আক্রান্তের সংস্পর্শে যারা গেছে, তাদের সংক্রমণ সময় হিসাব করলে সেই সংক্রমণ ২১-২২ জুনে চলে আসার কথা। সর্বোচ্চ ২৫ জুন পর্যন্ত তাদের সংক্রমিত হওয়ার কথা। আমরা বলছিলাম মধ্য জুনের পর ২২-২৩ জুন থেকে আমাদের এখানে করোনা কমতে পারে। সে হিসাব করলে ২৬ জুন থেকে সংক্রমণ কমার কথা। কারণ কন্টাক্ট থেকে যারা সংক্রমিত হন, সেটা সাধারণত একজনের থেকে একজন আক্রান্ত হন, ওই কন্টাক্টকে আমরা যদি আইসোলেশনে রাখতে পারি, তাহলে সেখান থেকে ট্রান্সমিশন ব্রেক হয়, মানে থেমে যায়। এর মধ্যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাও নেই। তাহলে ২৫-২৬ জুন পর্যন্ত বেড়ে আবার কমা শুরুর কথা। আমরা কিন্তু সে লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি। কারণ পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার কিন্তু অনেক দিন ধরেই বাড়ছে বা কমছে না। একটা জায়গায় রয়েছে। আরও কয়েক দিন সংক্রমণের বর্তমান হারটা অব্যাহত থাকবে। এরপর থেকেই এটি কমতে শুরু করবে।
তিনি বলেন, নিউ ইয়র্কে এক দিন ১ হাজার ছিল, পরের দিন ১০ হাজার হয়ে গেছে। আমাদের এখানে এরকম কখনই বাড়বে না। বাড়েনি। গত তিন সপ্তাহ ধরে দুই থেকে চার হাজারের মধ্যে আটকে আছি। কিন্তু এখন কমতে শুরু করেছে। অনেকেই বলে শনাক্তের হার ২৩ শতাংশ ছিল, এখন ২০ শতাংশ, এতে কমছে কি না? ৩ শতাংশ যদি হিসাব করি অর্থাৎ ৩০০ রোগী যদি দিনে কমে, এটা তো অনেক কমা। সে হিসাবে আমাদের এখানে যেভাবে ধীরে ধীরে বেড়েছে, সেভাবেই কমবে বলে ধারণা। সঙ্গে যদি মাস্ক পরি, অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হই, সামাজিক দূরত্বটা মানি, নিজেকে নিজে নিরাপদ রাখি, তাহলে কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা কমতে শুরু করব। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানার ব্যাপারে আগের চেয়ে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন কিন্তু ৮৫ শতাংশের বেশি মানুষ মাস্ক পরছে।
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, সরকার যত কিছুই করুক, এরকম মহামারীর সময় সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাপোর্ট যদি না পায়, মানুষ যদি প্র্যাকটিস না করে, তাহলে কিন্তু বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। জোনভিত্তিক লকডাউন চলছে। সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে শুধু প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধি না, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণও লাগে। শিবচর, টোলারবাগ ও রাজারবাগে সফল লকডাউন হয়েছে। আমরা এতদিন বলছিলাম টেস্ট বাড়লে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ১৮ হাজার পরীক্ষা হয়েছে। শনাক্ত কিন্তু চার হাজার পার হয়নি। শনাক্ত হারও ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ। এটা কম। এরকমভাবে এক সপ্তাহ ১ শতাংশ কমল, পরের সপ্তাহে ২ শতাংশ কমল, এভাবে যদি পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে নামানো গেলে, সেটা একটা সফলতা। তারপর লক্ষ্য থাকবে ১৫ শতাংশের নিচে নামানো। এটা তো একবারে কমানো যাবে না।
জুলাই মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখ করে এই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন ডেটা ও আমাদের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছি, আমার মনে হয় কমতে কমতে জুলাইয়ের শেষে গিয়ে একটা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। কিন্তু সামনে পশুর হাট। একটা বিপদ আছে। যতটা সম্ভব নিরাপদ রাখা যায় চেষ্টা করতে হবে।
সংক্রমণ কমার আরেকটা কারণ সংক্রমণ সক্ষমতা কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা সময় আমাদের এখানে একজনের থেকে দুজনে রোগটা ছড়াত। এটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে ২ থেকে ৩ দশমিক ৫৮। কিন্তু বাংলাদশে সেটা কখনই হয়নি। বাংলাদেশে দুই পর্যন্ত ছিল। সেটাও খুবই বিপজ্জনক। দুই থেকে দুই, দুই থেকে চার, চার থেকে ১৬ এভাবে ছড়াতে থাকে। সেটা একটা সময় কমে গিয়েছিল। তখন গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হলো। আবার বেড়ে গেল। আবার একটা নির্দিষ্ট জায়গায় এসে থেমেছিল, তখনই ঈদের ছুটিতে বাড়ি যেতে অনুমতি দিলাম। আবার বেড়ে গিয়েছিল। এখন আবার কমে এক দশমিক শূন্য পাঁচে নেমে এসেছে। কিন্তু টার্গেট থাকবে এটা একের নিচে নামানো। তখন সংক্রমণ এমনি কমতে শুরু করবে। এখন এক থেকে দুই এভাবে ছড়াবে। এই হারটা ১৭-১৮ জুনে ছিল ১ দশমিক ৬৭, ১০ জুনে ছিল ১ দশমিক ১১, সেটা এখন এক দশমিক শূন্য পাঁচ। এখন এটা একটা লেভেলে আসবে। তার মানে আমাদের এখানে কমছে।