কচুর মুখিতে আছে নানা গুণের সমন্বয়।
মাটির নিচে থাকা সুস্বাদু একটি সবজি হচ্ছে- কচুর মুখি। আমাদের দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কম বেশি এর চাষাবাদ। সারা বছর এটি পাওয়াও যায় সুলভ মূল্যে। কচুর মুখি দিয়ে রান্না তরকারি খেতেও কিন্তু দারুণ। শুধু স্বাদেই নয়, কচুর মুখি গুণেও অনন্য একটি সবজি।
আসুন তাহলে ঝটপট জেনে নিই কচুর মুখির কিছু গুণাগুণ –
হজমশক্তি বৃদ্ধিতে :
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সারাদিনের চাহিদার প্রায় ২৭ শতাংশ ফাইবার থাকে কচুর মুখিতে। এ কারণে এটি হজমে সহায়তা করে। এছাড়া এটি অতিরিক্ত গ্যাস, কোষ্টকাঠিন্যসহ বিপাকেও সহায়তা করে। এমনকি ডায়েরিয়ার জন্যও এটি বেশ উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কচুর মুখির জুড়ি নেই। এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কচুর মুখিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা শরীরের কার্যক্ষমতার জন্য দারুণ কার্যকরী।
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বৃদ্ধিতে :
কচুর মুখি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। এটি শরীরের রক্ত চলাচল সহজ করে। এছাড়া পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রক্তস্বল্পতা দূর করতে :
এতে থাকা আয়রন ও কপার রক্তে লোহিত কণিকা তৈরিতে সহায়তা করে। এ কারণে কচুর মুখি রক্তস্বল্পতা দূর করতে দারুণ কার্যকরী।
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে :
কচুর মুখিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে সহয়তা করে থাকে। এতে বিদ্যমান উচ্চ মানের ভিটামিন এ, সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেল বা কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচায়। এছাড়াও কচুর মুখিতে বিদ্যমান ভিটামিন ই এবং এ ত্বক সুরক্ষায় দারুণভাবে কাজ করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে : এতে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে : কচুর মুখিতে থাকা উপকারী ফাইবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে : কচুর মুখিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।