মুজিববর্ষে বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বাংলাদেশ। রবিবার এমনটি জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
এদিন রাজধানীর একটি হোটেলে জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে এই দাবা টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘দাবা খেলায় উপমহাদেশে প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার আমাদের দেশের সন্তান। আমাদের দেশে ইতিমধ্যে ১৪০০ জনের মতো স্বীকৃত দাবা খেলোয়াড় রয়েছে। দাবার এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি, দাবা খেলায় সামনে বাংলাদেশ বিশ্ব মঞ্চে বড় কিছু অর্জন করবে। আমাদের পরিকল্পনা আছে, আমরা মুজিববর্ষে বড় পরিসরে একটি আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্রীড়ার উন্নয়নের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব সময় নজর রয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনকে কেমন করে তিনি আলোকিত করবেন, কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সে বিষয়ে সর্বদাই তিনি চিন্তাভাবনা করেন। আগে আমাদের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে স্টেডিয়াম ছিল।
আমরা কিন্তু এখন উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছি। ১২৫টি মিনি স্টেডিয়াম ইতিমধ্যে নির্মাণ হয়েছে। চলতি অর্থ-বছরে আরো ১৮৬টি নির্মাণ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে। আমরা কিন্তু ক্রিকেটে (অনূর্ধ্ব-১৯) ইতিমধ্যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমাদের জন্য এটি অনেক বড় অর্জন। সর্বশেষ এসএ গেমসেও আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক পদক আনতে সক্ষম হয়েছি। ’
দাবা খেলার প্রসার ও উন্নয়নের জন্য স্থায়ী জায়গার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী । অচিরেই দাবার জন্য স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়ান দাবা কাউন্সিল ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী এই দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ মোট ১৫ টি দেশের ১৭ জন গ্র্যান্ডমাস্টারসহ ৭৪ জন দাবাড়ু এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।