রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় অবস্থিত বিভিন্ন চায়ের দোকানগুলোতে সম্প্রতি ব্যাপক হারে প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম কাপ এর ব্যবহার বেড়েছে, এসব কাপের কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া এগুলো পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব কাপে গরম চা খাওয়া কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, করোনা লকডাউন উঠে যাবার পর থেকেই চারঘাটে বিভিন্ন এলাকার বাজার গুলোতে চা দোকান খুলতে শুরু করে। সচেতনতার কারণে অনেকেই কাঁচের কাপে চা না খেয়ে ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহার শুরু করেন।
গত কয়েকদিনে উপজেলার বেশ কিছু এলাকাতে ঘুরে দেখা গেছে এসব স্বচ্ছ ও পাতলা প্লাস্টিকের কাপ ব্যাপক হারে চায়ের দোকানগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে। চা খেয়ে লোকজন এসব কাপ দোকানের আশপাশেই খোলা জায়গায় যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলছে,
সচেতন নাগরিকরা চায়ের দোকানে এসব প্লাস্টিকের কাপের ব্যাপক ব্যবহার দেখে বিস্ময় এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলেছেন যে ক্রেতারা সচেতন হয়ে কাচের কাপ বর্জন করেছেন। আবার অপরদিকে অসচেতন হয়ে পরিবেশবিনাশী এবং স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহার করেছেন।
এ বিষয়ে, ওয়ান টাইম কাপের ক্ষতিকারক দিকনিয়ে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কি না? জানতে মোঃ মামুনুর রশিদ, উপপরিচালক, রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
অপর দিকে চারঘাট উপজেলা স্বাথ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা: মোঃআশিকুর রহমানের সাথে কথা বলে জানতে পারি তিনি নিজেও খেয়াল করেছেন সম্প্রতি এমন ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের কাপের ব্যবহার চায়ের দোকানগুলোতে বেড়েছে। দাম কম হওয়ায় অনেক দোকানদার এগুলো কিনে নিয়ে আসছে। কিন্তু এগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কি-না তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ এগুলো অন্য প্লাস্টিক থেকে রিসাইক্লিং করে তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কয়েকজন চা দোকানিকে এ ব্যাপারে সচেতন করেছেন, কিন্তু সরকারি ভাবে কোনো নির্দেশনা না থাকায় আইনানুক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।