টাঙ্গাইলে ভূঞাপুর উপজেলার কোরবানির পশুরহাটগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। ফলে কোভিট-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন হাটের ক্রেত-বিক্রেতা ও স্থানীয় সচেতন মহল।
এদিকে কোরবানীর পশুর হাটে অসংখ্য গরু, ছাগল উঠলেও সে সব পশুর দাম কমে যাওয়ায় ব্যাপারীরা রয়েছেন হতাশাগ্রস্থ ও লোকসানের শংকায় । তাই দূরদুরান্ত থেকে আসা ক্রেতাগণও সুযোগ বুঝে, দেখে শুনে দরদাম করে তাদের কোরবানীর পশু ক্রয়-বিক্রয় করছেন।
উপজেলার গোবিন্দাসী গরুর হাটে কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, ঈদের এখনো কয়েকদিন বাকি আছে। তাই ভালোভাবে দেখে শুনে পশু ক্রয় করবো। এবার দেশী খামারিদের নিকট পর্যাপ্ত কোরবানি উপযুক্ত গরু রয়েছে তাই কোরবানীর পশুর কোন ধরনের সংকট হবেনা বলে তারা মন্তব্য করেন।
এদিকে উপজেলার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে মানা হচ্ছে না কোন সামাজিক দূরত্ব। হাটে আগত ক্রেতা ও বিক্রতাগণ মাস্ক না পরায় অনেকে করোনার সংক্রমনের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন।
গোবিন্দাসী হাটের ইজারাদার মো. লিটন মন্ডল বলেন, ঈদ যেহেতু নিকটে তাই হাটে ক্রেতা ও পাইকারের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে হাট পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও আমরা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছি এবং মাইক দিয়ে সার্বক্ষণিক সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে পশু ক্রয় করার কথা বলা হচ্ছে। যাতে ক্রেতা-বিক্রেতাগণ নির্ভয়ে তার কাংখিত পশুটি ক্রয় করতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, গোবিন্দাসী হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বেচাকেনা হচ্ছে পশু। এতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়তে পারে, আমরা দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।