বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় উন্নয়ন মেলায় আবেদনের সাথে সাথেই মিলছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার ও সংযোগ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে যেখানে মিটারের আবেদন করার সাত কার্যদিবসের মধ্যে মিটার স্থাপন করার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। সেখানে বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার যেকোন গ্রাহক আবেদনের সাথে সাথেই আবাসিক মিটারের সুবিধা পাচ্ছেন। রবিবার দুপুরে মিটার সংযোগের উদ্বোধন করেন ইউএনও ঝোটন চন্দ ও পল্লী বিদ্যুতের বোয়ালমারী জোনাল কার্যালয়ের ডিজিএম মো. সানোয়ার হোসেন। এ সময় ১০ জন
গ্রাহকের হাতে ১০টি আবাসিক মিটার তুলে দেওয়া হয়। দুইদিন ব্যাপি উন্নয়ন মেলায় এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বোয়ালমারী জোনাল কার্যালয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করে। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রচারণা চালানো হচ্ছে উন্নয়ন মেলার মাধ্যমে। এ মেলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পৃথক পৃথক স্টলের সাথে বোয়ালমারী পৌরসভা ও থানা স্টল নিয়েছেন। মোট স্টল রয়েছে ২৩টি।
পল্লী বিদ্যুতের বোয়ালমারী জোনাল কার্যালয়ের ডিজিএম মো. সানোয়ার হোসেন জানান, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের অংশ হিসেবে আমরা উন্নয়ন মেলায় এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এ কার্যক্রম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কারণেই সম্ভব হয়েছে। বিদ্যুৎখাতসহ সকল পর্যায় বা প্রতিষ্ঠানে এ সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
সেবাভোগী সৈয়দপুর গ্রামের সফুয়া বেগম বলেন, ‘বিদ্যুৎ আগে যেখানে অফিসে ঘুরে ঘুরে দুই-তিন মাস পরে পৈতাম, এখন গ্রাহকদেরকে খুঁজে খুঁজে মিটার সংযোগ দিচ্ছে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন।‘ উন্নয়ন মেলায় আবেদন করার সাথে সাথেই মিটার সংযোগ পেয়ে গেলাম।
প্রসঙ্গত, শনিবার উন্নয়ন মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান মিয়া, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রীতম কুমার হোড়, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু আহাদ মিয়া, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সানোয়ার হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।